Durga Puja 2023 : গুজরাত-দিল্লির অক্ষরধাম এবার বাংলায়, দুর্গাপুজোয় দেখা যাবে হাওড়ার এই মণ্ডপে – durga puja 2023 jatiya sevadal durga puja pandal theme in akshardham temple


আর কমবেশি ২ মাসের অপেক্ষা। তারপরেই ছেলেমেয়েদের নিয়ে মর্ত্যে আসছেন দেবী দুর্গা। উৎসবে মেতে উঠবে গোটা বাংলা। ৪ দিনের বাঁধন ছাড়া উচ্ছ্বাস ও আনন্দ। রাতভর ঘোরাফেরা, খাওয়াদাওয়া, ঠাকুর দেখা, সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা মারা। আর সেই দুর্গাপুজোর আয়োজনও শুরু হয়ে গিয়েছে এই মুহূর্তে। শহর কলকাতা তো বটেই, জেলাগুলিতেও মায়ের আবাহনের প্রস্তুতি তুঙ্গে। বহু জায়গাতেই ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে মণ্ডপ তৈরির কাজ। বিগত কিছু বছর ধরে অবশ্য থিমের রমরমা। পুজো মানেই, বেশিরভাগ জায়গায় থিম নির্ভর। তবে সাবেকি পুজো যে একেবারে নেই তেমনটা কিন্তু নয়, বাড়ির পুজোগুলির পাশাপাশি বহু, বারোয়ারি এখনও নিজেদের সাবেকিয়ানা ধরে রেখেছে। যেমন হাওড়ার জাতীয় সেবাদল।

অক্ষরধাম মন্দিরের আদলে মণ্ডপ
এই বছর ৯০ বর্ষে পদার্পণ করছে হাওড়া জাতীয় সেবাদল। মূলত সাবেকিয়ানাতে ভর করেই তাঁদের সমস্ত পরিকল্পনা। প্রতিমার সাজ, পুজোর আচার, আয়োজন সমস্ত কিছুতেই থাকছে সাবেকিয়ানার ছোঁয়া। তবে অভিনবত্ব থাকছে মণ্ডপের ক্ষেত্রে। এই প্রসঙ্গে বলতে হয়, গুজরাতের অক্ষরধাম মন্দির কথা নিশ্চয় অনেকেই শুনেছেন। অনেকে আবার দেখেওছেন। এছাড়া আরও একটি অক্ষরধাম মন্দির রয়েছে দেশের রাজধানী দিল্লিতেও। বছরভর এই দুই মন্দিরেই ভিড় লেগে থাকে দর্শনার্থীদের। তবে যাঁরা এখনও সেই দুই মন্দিরে একটিও সামনে থেকে দেখার সুযোগ পাননি, তাঁদের জন্য সুখবর। কারণ এবার হাওড়ার জাতীয় সেবাদলের সৌজন্যে সেই অক্ষরধামই দেখা যাবে এই বাংলার বুকে। অর্থাৎ এই বছর অক্ষরধাম মন্দিরের আদলে তৈরি হচ্ছে হাওড়া সেবাদলের মণ্ডপ।

Durga Puja 2023 : টুইন টাওয়ার বানিয়ে রাজ্যজুড়ে হইচই, এবারের দুর্গাপুজোয় কল্যাণীর সেই ক্লাবের থিম কী?
গোটা আয়োজনে বিপুল বাজেট
এই প্রসঙ্গে জাতীয় সেবাদলের অন্যতম সদস্য আবির পল্ল্যে জানান, প্রতিমা তৈরি হবে সাবেকি ঢঙে। প্রতিমাটি তৈরি করছেন শিল্পী সনাতন রুদ্রপাল। এই বছর ৯০ বর্ষ উপলক্ষ্যে থাকছে বিশেষ আলোকসজ্জাও। সঙ্গে মণ্ডপের সামনেই বসবে মেলা। পুজোর ক’দিন এলাকার সকলে মিলে একসঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠেন তাঁরা। থাকে ভোগের ব্যবস্থাও। তবে এখানে অবশ্য খিচুড়ি ভোগের ব্যবস্থা থাকে না। বরং লুচি দিয়েই মাকে ভোগ দেন ক্লাবের সদস্যরা। সেই ভোগ বিতরণ করা হয় এলাকাবাসীর মধ্যে। এত বড় পুজো, তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই বাজেটও নেহাত কম নয়। আবিরবাবু জানান, এই বছর পুজোর বাজেট ২০ লাখ টাকারও বেশি। তাঁদের আশা বরাবরের মতো এবারও এলাকাবাসী তথা জেলার মানুষের মন জয় করতে পারবে তাঁদের উদ্যোগ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *