নিউ টাউনে হিডকোর সরকারি জমি প্রতারণা মামলায় এই দুই জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিন এই অভিযুক্তদের নিয়ে শিয়ালদা স্টেশনে এসে পৌঁছয় বিধাননগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ। জানা গিয়েছে, নিউ টাউন জমি দুর্নীতি মামলার দুই অভিযুক্ত উত্তরপ্রদেশে পালিয়েছে, এই খবর ছিল গোয়েন্দাদের কাছে। এরপরেই বিধাননগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার আধিকারিরকরা পৌঁছন সেখানে। গ্রেফতার করা হয় দুই জনকে। তাদের এদিন পেশ করা হবে বারাসত আদালতে। এই দুই জনকে হেফাজতে নিতে চায় পুলিশ।
বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিডিডি বিশ্বজিৎ ঘোষ জানান, হিডকো জমি দুর্নীতি নিয়ে মোট দশটি অভিযোগ হয়েছে। অধিকাংশ অভিযোগ দায়ের হয়েছে নিউটাউনের টেকনোসিটি থানায়। এছাড়া লেকটাউন থানা এবং বিধাননগর দক্ষিণ থানাতেও দায়ের করা হয়েছে অভিযোগ।
এই ঘটনাগুলির তদন্তে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে আসে তদন্তকারীদের। জমি কেনা বেচার নামে অপরাধ চক্র গজিয়ে উঠেছে, সামনে আসে এমন তথ্যও। ঘটনায় প্রথমে গ্রেফতার করা হয় তন্ময় নায়েক নামক এক ব্যক্তিকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও কয়েকজনের নাম পায় পুলিশ।
তাদের মধ্যে দুই জনের নাম ছিল FIR-এ। তাদের পাকড়াও করার জন্য বিধাননগর গোয়েন্দা শাখার স্পেশাল টিমকে পাঠানো হয় উত্তরপ্রদেশে। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অবশেষে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, মথুরায় আশ্রয় নিয়েছেন ওই দুই জন। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় সুদীপ্ত রায় সহ আরও একজনকে।
গোটা ঘটনার তদন্ত করছে বিধাননগর গোয়েন্দা শাখার পুলিশ। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, হিডকো জমি দুর্নীতির সঙ্গে কে বা কারা জড়িত? পুলিশের তরফে জানানো হচ্ছে, এখনও পর্যন্ত তদন্তে বেশ কিছু নাম উঠে এসেছে। আর তার প্রেক্ষিতেই পুরো তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এরপর ধীরে ধীরে তদন্ত অগ্রগতি হয় এবং মূল অভিযুক্তদের ভিন রাজ্যে পালিয়ে যাওয়ার তথ্য সামনে আসে।
অভিযুক্ত দুই জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এই ঘটনায় আরও নতুন তথ্য উঠে আসতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের কথায়, এই ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও মাথা রয়েছে কিনা তা জানার জন্য এই দুই জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তদন্তকারীরা।