স্বাধীনতা দিবস অর্থাৎ ১৫ই আগস্ট আসলেই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর কথা আগে মনে করে বাঙালি জাতি থেকে শুরু করে ভারতবর্ষ। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর স্বাধীনতার সংগ্রামের লড়াই ‘তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব’ স্লোগানে মুখরিত হয় স্কুল প্রাঙ্গণ। স্বাধীনতা সংগ্রামীর জীবনীতে প্রতিটা অক্ষরে অক্ষরে সেই কথা লেখা রয়েছে।
এই স্কুলে ১৯২৯ সালে কংগ্রেসের একটি প্রাদেশিক সভায় যোগ দিয়েছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সঙ্গে ছিলেন তৎকালীন জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্ব চক্রবর্তী রাজা গোপালাচারী পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস সভাপতি যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত। বসিরহাট হাইস্কুলের বর্তমানে ভবনের ১৩ এবং ১৪ ও ১৫ নম্বর কক্ষ ও মাঠে উপস্থিত হন।
সকালে মাটিনবান রোডের রেলপথে বসিরহাটে আসেন তিনি। এরপর বসিরহাটের ত্রিমোনী থেকে মালা পরিয়ে ঘোড়ার গাড়িতে মহাসমারোহে ঢাক ঢোল পিটিয়ে নিয়ে জয়ের উল্লাসের সঙ্গে বসিরহাট হাই স্কুলে নিয়ে যাওয়া হয়। বসিরহাট হাই স্কুলের কংগ্রেসের প্রাদেশিক সভায় মানুষের জনসমাবেশে বিপুল সাড়া পড়ে।
স্কুলের ছাত্রী দীপা সরকার বলেন, ‘ আমরা শিক্ষকদের কাছে শুনেছি, উনি আমাদের স্কুলে এসে মিটিং করে গিয়েছেন। এটা আমাদের কাছে অনেক বড় আনন্দের। অনেক বড় পাওয়া।’ স্কুলের সহকারী শিক্ষিক সিঞ্চন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের সব সময় বলি, ওঁরা এসেছিলেন আমাদের বিদ্যালয়ে। আমাদের কাছ থেকে সেই ঘটনার গল্প শুনে এরা খুব উদ্বুদ্ধ হয়।’
পাশাপাশি এই সম্মেলনের উল্লেখযোগ্য আরও একটি ঘটনা ছিল, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের “আমরা সত্যিই আমরা দল” গানটি নেতাজির উপস্থিতিতে প্রথম এই সভা মঞ্চ থেকে গাওয়া হয়। স্কুলের মূল প্রবেশদ্বারে বসানো হয়েছে নেতাজির আবক্ষ মূর্তি। ওই স্কুলের ছাত্র ছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষকরা নেতাজির মুখ দর্শন করে ক্লাস রুমে প্রবেশ করেন। আজও তাকে স্মরণ করে আসছেন সীমান্তবর্তী শহর বসিরহাটের মানুষ।