Jadavpur Ragging : ‘আলু’ এখন কোথায়! প্রশ্ন উঠছে ক্যাম্পাসেও – aritra majumder the resigned chairperson of fetsu was not seen in jadavpur university


এই সময়: ঘটনার পর কেটে গিয়েছে সাত দিন। কিন্তু বুধবারও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা মিলল না ফেটসুর পদত্যাগী চেয়ারপার্সন অরিত্র মজুমদার ওরফে ‘আলু’র। আলুর খোঁজ পাওয়া না গেলেও মঙ্গলবার তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হন সৈকত শিট নামে এক প্রাক্তনী। সম্প্রতি একটি চ্যাটের ভাইরাল স্ক্রিনশটে আলু ছাড়াও শিট নামে আরও এক ছাত্রনেতার নাম উঠে আসে। ভাইরাল ওই স্ক্রিনশটে দাবি করা হয়, এই আলু এবং শিট ছাত্রমৃত্যুর দিন হস্টেলেই উপস্থিত ছিলেন এবং তাঁরাই ঘটনার পিছনে আছেন।

Jadavpur University Ragging : ঘটনার পর বেপাত্তা সর্বঘটের ‘আলু’
যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি ‘এই সময়’। পড়ুয়াদের বক্তব্য, ভাইরাল চ্যাটের শিট এবং সৈকত শিট একই ব্যক্তি। এর মধ্যেই কলকাতা পুলিশ সূত্রে দাবি, আলুর গতিবিধির উপরে নজর রাখা হচ্ছে। এ দিন বৈঠকে বসে যাদবপুরের তদন্ত কমিটি। সেই কমিটির তরফেই তলব করা হয় সৈকতকে। তদন্ত কমিটির সামনে হাজিরা দেওয়ার আগে সৈকত ফেসবুকে বিবৃতি দিয়ে লেখেন, ‘গত ১০-১৫ দিন যাবৎ আমি যেখানে থাকি, সেই মেসেই আছি।

Jadavpur University News : ‘জোর করে নাম জুড়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে…’, ফেসবুক পোস্ট যাদবপুরকাণ্ডে ‘অভিযুক্ত’ বহুচর্চিত সৈকতের
যাঁরা আমায় খুঁজে পাচ্ছেন না বলে সামাজিক মাধ্যমে অভিযোগ করছেন, এমনকী তাঁদের কারও কারও সঙ্গে গত ২-৩ দিনে মুখ দেখাদেখিও হয়েছে। শুধু ঘটনার দিন নয়, গত বেশ কয়েক মাসেই হস্টেলে গিয়ে ওঠা হয়নি। প্রয়োজনীয় আইনি পরামর্শ নিতে গিয়েই সমাজমাধ্যমে জানাতে দেরি হলো।’ অবশ্য এসএফআই নেতা শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘ও যে হস্টেলে থাকে না, এ কথা সম্পূর্ণ মিথ্যে। ক্যাম্পাসের সবাই জানে ও হস্টেলে নিয়মিত থাকে। ছাত্রের মৃত্যুর পর আগমার্কা কালেক্টিভ নেতা সৈকত শিটের মুখ খুলতে সাতদিন সময় লাগল? তাও নিজেকে ডিফেন্ড করতে? সব আন্দোলনে যে থাকে, পাসআউট হয়েও যাঁকে জিবি মিটিংয়ের আশেপাশে দেখা যায়, তাঁর বিবৃতি আগে এল না কেন?’

Jadavpur University Student Death : বহু সম্ভাবনার মৃত্যুতে কাঠগড়ায় ‘কালেক্টিভ’
ছাত্র মৃত্যুর পরদিন গত বৃহস্পতিবার সৈকত, অরিত্রকে শেষবার ক্যাম্পাসে দেখা যায় বলে পড়ুয়ারা জানাচ্ছেন। সূত্রে খবর, পাসআউট হয়েও হস্টেলে সৈকতের যে নিয়মিত যাতায়াত ছিল, তা একাধিক ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির সামনে জানান। তাঁর ছবি দেখিয়েও কনফার্ম করা হয় বিষয়টি। এ দিন সৈকতকে প্রায় আধ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত কমিটি। কেন তাঁর নাম উঠছে, কেন তাঁকে হস্টেলে দেখা যায়, কেন তিনি ঘটনার পর গত বৃহস্পতিবার থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিলেন, হস্টেলের র‍্যাগিং কালচার নিয়ে তাঁর অভিমত কী- এই সব প্রশ্ন করা হয়। তাতে ফেসবুকের বয়ানের মতোই একই কথা তদন্ত কমিটিকে শুনিয়েছেন তিনি। চর্চায় চলে আসে যাদবপুরের ফেটসুর আরও এক পদত্যাগী নেতা গৌরব দাসের নামও। তিনি অবশ্য বুধবার রাতে সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিনি কোথাও যাননি।

Jadavpur University News : যাদবপুরে পৃথক হস্টেল পেতে চলেছে ফ্রেশাররা, তিন দিনে সব হস্টেল থেকে সরতে হবে প্রাক্তনীদের
যাদবপুরেই আছেন। তবে অরিত্র কোথায় সে ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। এ দিকে অরিত্রর খোঁজ এ দিনও জারি আছে। তদন্ত কমিটি নিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ প্রশ্ন তুলেছে। তাঁদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটিতে অরিত্রর বর্তমান পিএইচডি গাইড তথা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক অনুপম দেব সরকার কেন আছেন তা নিয়ে। সংগঠনের তরফে সঞ্জীব প্রামাণিক বলেন, ‘এই অরিত্র ইঞ্জিনিয়ারিং শাখায় অত্যন্ত প্রভাবশালী। তাঁরই গাইডকে তদন্ত কমিটিতে রাখা তাই অত্যন্ত আপত্তিকর। এতে তদন্ত কমিটির নিরপেক্ষতা বজায় থাকছে না।’ অবশ্য অনুপমও জানেন না তাঁর ছাত্র কোথায়! তিনি বলেন, ‘গত ৭ অগস্ট শেষবার আমার সঙ্গে অরিত্রর রিসার্চ নিয়ে কথা হয়।

Jadavpur University : হস্টেলের বাপই শেষ কথা বলে! জুনিয়ররা যেন প্রজা
সে জানায় ১৫ অগস্টের সপ্তাহে যেন রিসার্চের কোনও কাজ না রাখি। তারপর থেকে আমার সঙ্গে ওর কোনও কথা হয়নি।’ তৃণমূলের অভিযোগ প্রসঙ্গে অনুপমের বক্তব্য, ‘আমাকে কর্তৃপক্ষই তদন্ত কমিটিতে রেখেছিলেন। তাঁরা যদি বলেন আমাকে সরে যেতে আমার তাতে কোনও অসুবিধে নেই।’ এসএফআই-সহ বাকি বেশ কিছু সংগঠনের অভিযোগ, আলু কাশ্মীরে চলে গিয়েছেন। এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সাগির হুসেনের অরিত্রকে নিয়ে করা একটি ফেসবুক পোস্টে কালেক্টিভের এক সমর্থক লেখেন, ‘এত খবর রাখো, এটা জানো না?

অরিত্র কাশ্মীর গ্রেট লেক ট্রেকে আছে, যেটা এডিএস (অনুপম দেব সরকার) তিনমাস আগে থেকেই অবহিত?’ আবার অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের নাম টেনে এনে দাবি করেছেন, অরিত্র তাঁর ছত্রচ্ছায়ায় আছেন। অরূপ বলেন, ‘অরিত্র নামে সিপিএমের এই হার্মাদ, অত্যাচারী এবং ছাত্রখুনের চক্রান্তকারীকে আমি চিনি না। এটা আমার বিরুদ্ধে সিপিএম থেকে চক্রান্ত করা হচ্ছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *