বেঙ্গল সাফারি পার্ক সূত্রে খবর, ব্যাঘ্র শাবকের মৃত্যুর বিষয়টি বিষয়টি বনমন্ত্রী সহ বন দফতরের উচ্চকর্তাদেরও জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, অপুষ্টিজনিত শারীরিক সমস্যার কারণে ওই ব্যাঘ্র শাবকটির মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় বেঙ্গল সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষেরও মন খারাপ। এ প্রসঙ্গে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘একটি শাবক মারা গিয়েছে। জানা গিয়েছে অপুষ্টিজনিত কারণেই শাবকটি মারা গিয়েছে। কয়েকদিন ধরেই শাবকটি খাবার খাচ্ছিল না। মৃত্যুর পর শাবকটির ময়নাতদন্ত হয়েছে।’
বেঙ্গল সাফারি পার্কে সফলভাবে বাঘের প্রজনন হলেও মাঝেমধ্যেও ব্যাঘ্রশাবকদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এর আগে শীলা বেঙ্গল সাফারি পার্কে আসার পর তিনটি শাবকের জন্ম দিয়েছিল। পরবর্তীতে তিনটি শাবকের নাম করণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই একটি শাবকের মৃত্যু হয়। বেঁচে যায় কিকা ও রিকা।
সাদা বাঘ কিকা কিছুদিন আগে গর্ভবর্তী হয়। এরপর থেকেই বিশেষ নজরে রাখা হয় কিকাকে। জুলাই মাসে কিকা দুই শাবকের জন্ম দেয়। কিন্তু একটি শাবক জন্মের সময় মারা যায়। আরেকটি শাবককে নজরে রাখলেও হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ে সেটি। তাঁকে বাঁচানোর জন্য সব ধরনের চেষ্টা করেন বেঙ্গল সাফারি পার্কের চিকিৎকরা। শেষমেশ তাঁদের চেষ্টাতেও কোনও কাজ হল না।
বনকর্তা ও পশু চিকিৎসকেরা জানান, কোনও ব্যাঘ্র শাবকের জন্ম হলেও কয়েকমাস অবধি বলা যায় না যে সেটি আদৌ বাঁচবে কি না। কেননা অনেক সময়ই ব্যাঘ্র শাবকদের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকে না, দুর্বলতা থাকে। যেকারণে জন্মের কয়েক মাসের মধ্যেই মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে। জন্মের পর তিনমাস কাটলে ব্যাঘ্র শাবকের শারীরির অবস্থার কথা বোঝা যায়। তবে এই শাবককে একবারেই আলাদাভাবে রাখা হয়েছিল। মা ও শাবক আলাদা এনক্লোজারেই ছিল বলে সাফারি পার্ক সূত্রে খবর। কিন্তু তাসত্ত্বেও তাঁকে বাঁচাতে না পেরে হতাশ সাফারি কর্তৃপক্ষ।