জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনায় চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ কোর্ট, স্বরাষ্ট্র সচিবকে হলফনামা জমার নির্দেশ


হুগলির বাঁশবেড়িয়ায় National Flag অবমাননার ঘটনায় চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ কলকাতা হাইকোর্টের। এরকম ঘটনায় রাজ্যের আরও সজাগ হওয়া উচিত ছিল বলে পর্যবেক্ষণ আদালতের। এরকম ঘটনায় রাজনৈতিক রং দেখা উচিত নয় বলে জানান প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম।

Calcutta High Court: CCTV ফুটেজ আনার পরামর্শ পুলিশের! ক্রিকেটার পঙ্কজ রায়ের বাড়ির পরিচারিকা নিগ্রহ মামলায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট
স্বাধীনতা দিবসের দিন বাঁশবেড়িয়ায় জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে বিস্ফোরক প্রধান বিচারপতি। রাজ্যের উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘আপনার কি মনে হয় না এটা সিরিয়াস? রাজ্যের এ বিষয়ে আরও বেশি সজাগ হওয়া উচিৎ ছিল বলে জানান প্রধান বিচারপতি।

Calcutta High Court : যাদবপুরকাণ্ডে NIA তদন্তের দাবি, এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ BJP
বিচারপতি আরও জানান, মামলাকারী শুভেন্দু অধিকারী তাই কি এই মামলায় এত অনিহা? ইঙ্গিত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের। নাম না করে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘আপনি ভুলে যান কে আদালতে এসেছে? জাতীয় পতাকার অবমাননা, আমাদের সবার অপমান।’ এরকম ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনকে আরও বেশি সক্রিয় ভূমিকা পালনের ব্যাপারে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি।

Calcutta High Court : &amp#39;ছাত্র সংসদকেও মামলায় যুক্ত করতে হবে&amp#39;, যাদবপুরকাণ্ডে বড় নির্দেশ আদালতের
বিচারপতি জানান, পুলিশ ও থানার উচিৎ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত পদক্ষেপ নেওয়া। সব কিছুকে রাজনৈতিক রঙ দেওয়া উচিত নয়। মিথ্যে বলবেন না। মন্তব্য প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের। স্বরাষ্ট্র সচিবকে হলফনামা দিয়ে জানানোর নির্দেশ। তদন্ত সঠিক ভাবে করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসের দিন একটি অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা মাটিতে ফেলে দেওয়ার একটি গুরুতর অভিযোগ ওঠে। ঘটনাটি হয়
হুগলির বাঁশবেড়িয়ায়। অভিযোগকে কেন্দ্র করে তুমুল অশান্তি ছড়ায়। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন অনেকে। ঘটনার পরেই ওই জায়গায় পৌঁছতে যান রাজ্য BJP সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁকে পুলিশ আটকে দেয় বলে অভিযোগ করা হয়। ঘটনায় BJP-র চূড়ান্ত সমালোচনা করা হয়।

Meri Mati Mera Desh : দিল্লি গেল স্বাধীনতা সংগ্রামীর ভিটের মাটি

এই ঘটনায় NIA তদন্তের দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে মেল পাঠিয়েছেন বলে জানান হুগলি জেলার BJP সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। ঘটনা খতিয়ে দেখে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা উচিত বলে জানান তিনি। ঘটনার পর সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘ এরকম ঘটনা প্রায়শই চলছে। এই ধরণের সাম্প্রদায়িক হিংসা, একতরফা হিংসা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঘটে চলেছে।’ তাঁর দাবি, সব জায়গাতেই একই ফর্মুলা অনুসরণ করা হচ্ছে। ১৪৪ ধারা রেখে দেওয়া হচ্ছে, যাতে সেখানে অন্য দলের প্রতিনিধিরা ঢুকতে না পারে। তবে গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এবার ক্ষোভ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্টও।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *