Chandrayaan 3 Make Its Landing On The West Bengal Jhargram Resident Land On Moon


Live Telecast of Chandrayaan 3: বাঙালির জমিতে ল্যান্ড করতে চলেছে চন্দ্রযান ৩?
বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিট নাগাদ চাঁদে অবতরণ করতে চলেছে ভারতের চন্দ্রযান ৩। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে তা অবতরণ করতে চলেছে। এখনও পর্যন্ত বিশ্বের কোনও দেশ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা রাখতে পারেনি। স্বাভাবিকভাবেই গোটা বিশ্ব তাকিয়ে রয়েছে ISRO-র এই চন্দ্র মিশনের দিকে।

১৪০ কোটি ভারতীয় মতোই বুধবার সংবাদ মাধ্যমের দিকে চোখ স্থির করে বসে রয়েছেন ঝাড়গ্রামের সুমন্ত মুর্মু। ২০২১ সালে ২ জুলাই তিনি চাঁদে জমি কিনেছিলেন বলে দাবি করেছিলেন। স্ত্রীকে বিবাহ বার্ষিকীতে উপহার দিতেই তাঁর এই পদক্ষেপ। মাত্র তিন হাজার ২৪০ টাকা দিয়ে একটি বিদেশি ওয়েবসাইট থেকে তিনি চাঁদে জমি কেনেন এবং তাঁকে দেওয়া হয় কাগজপত্রও।

Chandrayaan 3 Landing Place : হালকা ঢালু, পড়বে সূর্যের আলো! দক্ষিণ মেরুর কোন অংশে নামবে ISRO-র চন্দ্রযান ৩
আর তাঁর হাতে তুলে দেওয়া কাগজে সংশ্লিষ্ট সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, “চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে উত্তর-পূর্ব অংশে তার জমি রয়েছে।” সেক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই তিনি তাকিয়ে রয়েছেন ‘তাঁর জমি’-তেই কী ল্যান্ড করতে চলেছে চন্দ্রযান ৩?

চন্দ্রযান ৩ কে শুভেচ্ছা জানান আপনিও

সুমন্ত এই সময় ডিজিটাল-কে বলেন, “আজ প্রতিটি ভারতীয় জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। চন্দ্রযান ২ ব্যর্থ হয়েছিল। কিন্তু, চন্দ্রযান ৩ সফল হোক এই কামনা করছি।” তিনি আরও বলেন, “কোনওভাবে যদি জানতে পারি আমার জমিতে ল্যান্ড করতে চলেছে চন্দ্রযান ৩ তাহলে তো সোনায় সোহাগা। আমরা সকলেই এখন এই দিকেই তাকিয়ে রয়েছি।”

Chandrayaan 3 News : আর একটুখানি পথ! কতটা কঠিন চন্দ্রযান ৩-এর শেষ মুহূর্তের জার্নি?
চাঁদে কি জমি কেনা যায়?
চাঁদে জমি কেনার হিডিক দেখা যায় অনেকের মধ্যেই। কিন্তু, সত্যি কি সেখানে আদৌ কোনও জমি কেনা সম্ভব? এই প্রসঙ্গে বলা যায়, চাঁদে জমি কেনা আদতে সম্ভব নয়। অতীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং গ্রেট ব্রিটেনের মধ্যে একটি চুক্তি সই করা হয়েছিল। এই ‘আউটার স্পেস চুক্তি ১৯৬৭’-র মারফত চাঁদে কোনওভাবেই জমি কেনা যায় না। সেখানে সই করেছিল ভারত।

Chandrayaan 3 Live : কিছুক্ষণের মধ্যেই ‘অগ্নিপরীক্ষা’, আজ কী আছে চন্দ্রযান ৩-এর ভাগ্যে?
কিন্তু, কিছু অনলাইন সাইট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো সার্টিফিকেট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। আর সেই মোতাবেক টাকাও তুলছে তারা এবং এই ভুয়ো সার্টিফিকেট দিয়ে চালাচ্ছে রমরমা কারবার।

অর্থাৎ ঝাড়গ্রামের এই যুবকের চাঁদে কোনও জমি কেনা থাকতেই পারে না। এই সার্টিফিকেটটি প্রতীকী। যদিও আশা আর কবে যুক্তির ধারা মেনেছে। আর সেই কারণেই আজ মুর্মু পরিবারের চোখ চন্দ্রযান ৩-এর অবতরণের দিকে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *