Calcutta Medical College and Hospital : নিঃশ্বাসে বাঁশির আওয়াজ, মৃতপ্রায় খুদে! বিরল অস্ত্রোপচারে আরমানকে বাঁচাল মেডিক্যাল কলেজ – calcutta medical college and hospital ent department successfully done rare operation of a child


ফের বিরল অস্ত্রোপচার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। প্রাণ ফিরল মৃতপ্রায় শিশুর। শহরের অন্যতম এই নামী সরকারি হাসপাতালের ENT বিভাগের চিকিৎসকদের তৎপরতায় প্রাণ বাঁচল বছর আটেকের খুদের। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁশি নিয়ে খেলার সময় কোনওভাবে সেটি গিলে ফেলে ওই শিশুটি। শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে বের হতে থাকে বাঁশির শব্দ। ওই অবস্থায় শিশুটিকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমার্জেন্সি বিভাগে নিয়ে আসেন তার পরিবারের সদস্যরা। সেখান থেকে তাকে ENT বিভাগের আউটডোরে রেফার করা হয়। অবস্থার অবনতি দেখে তড়িঘড়ি অস্ত্রোপচার করে শিশুটির ব্রঙ্কাসে আটকে থাকা বাঁশিটি বের করে আনেন চিকিৎসকরা।

North Bengal Medical College : মুড়ি খেতে গিয়ে গলায় পেঁচিয়ে গেল লোহার তার! হাসপাতালে ছুঁটলেন মহিলা, তারপর…
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁশি নিয়ে খেলার সময় অসাবধানতাবশত সেটিকে গিলে ফেলে ক্যানিং স্ট্রিট এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ আরমান। কাশলেই বের হচ্ছিল বাঁশির আওয়াজ, নিশ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছিল তাকে। কফের সঙ্গে সামান্য রক্ত বের হতে দেখেই মাকে গিয়ে গোটা ঘটনার কথা জানায় আরমান। তখনই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর শিশুটির অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। হু হু করে কমতে থাকে রক্তের অক্সিজেনের মাত্রা। এক সময় শিশুটিকে আদৌ বাঁচানো সম্ভব হবে কি না, সেই নিয়ে সংশয়ে পড়ে গিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। এমনকী ব্রঙ্কোস্কপি করার ঝুঁকি নিতে পারছিলেন না চিকিৎসকরা। শিশুটিকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতে ঘণ্টাখানেক সময় লেগে যায় চিকিৎসকদের। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯০ শতাংশ হওয়ার পর শুরু হয় ব্রঙ্কোস্কপির প্রক্রিয়া।

Burdwan Medical College : QR কোড দিয়ে টাকা আদায়! বর্ধমান মেডিক্যালে অভিনব প্রতারণা
ব্রঙ্কোস্কপি করে আটকে থাকা বাঁশির অবস্থান বুঝতে পারেন চিকিৎসকরা। ২ সেন্টিমিটার আকারের বাঁশিটিকে বের করে আনেন ইএনটি বিভাগের চিকিৎসকদের দল। কিন্তু, দীর্ঘ সময় ধরে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা ও বাঁশি ঢুকের যাওয়ার কারণে শিশুটির ফুসফুসে সামান্য জখম হয়েছিল। সেই কারণে তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয় এবং ২৪ ঘণ্টার ভেন্টিলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। অবস্থার উন্নতি হওয়া পর এদিন তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। শিশুটির আর কোনও শারীরিক সমস্যা নেই বলেই জানা গিয়েছে।

Dengue Fever : ডেঙ্গি সেরেও ফের অসুস্থতা, সাবধান করছেন চিকিৎসকরা
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ দীপ্তাংশ মুখোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে এই সময় ডিজিটালকে বলেন, ‘হাসপাতালে আসার পর শিশুটির শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রবল সমস্যা হচ্ছিল। এক সময় তাকে প্রাণে বাঁচানোয় অসম্ভব বলে মনে হচ্ছিল। তাকে তড়িঘড়ি ওটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। তার রক্তে অক্সিজনের মাত্রা ছিল ৩০ শতাংশ। শিশুটির অবস্থা স্বাভাবিক করতেই আমাদের ১ ঘণ্টা সময় লেগেছিল। ব্রঙ্কোস্কপি করে আটকে থাকা বাঁশিটির অবস্থান দেখা হয়। তারপর আমরা সেটিকে বের করে আনি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *