বুধবার ওই গৃহবধূ এবং তার প্রেমিককে জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১৫ বছর আগে পুরুলিয়ার নিতুরিয়া থানার অন্তর্গত মেকাতলা গ্রামের বাসিন্দা রিংকু রাউথ রায়ের সঙ্গে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের রতনপুরের যুবক রাজেশ দাসের বিয়ে হয়। পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হওয়ার পর তাদের চার সন্তানও হয়। কিন্তু বছর খানেক আগে তিন সন্তানকে ফেলে রেখে কোলের শিশু সন্তানকে নিয়ে পুরুলিয়ার বাসিন্দা পুরাতন প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যান ওই গৃহবধূ।
বহু খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে বিষয়টি নিয়ে সামশেরগঞ্জ থানার দ্বারস্থ হন প্রতারিত স্বামী রাজেশ দাস। স্ত্রীকে অপহরণ করার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন তিনি। তারপরেই শুরু হয় তদন্ত। অবশেষে প্রায় সাত মাস পর উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসতের পুঁইপুকুর ক্ষুদিরাম পল্লী এলাকা থেকে গৃহবধূ রিংকু রাউথ রায় এবং তার প্রেমিক ধর্মেন্দ্র বাউড়িকে গ্রেফতার করে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ।
মঙ্গলবারই তাদের থানায় নিয়ে আসা হয়। বুধবার ধৃত গৃহবধূ ও তার প্রেমিককে জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়। সূত্রের খবর, ওই গৃহবধূ এখন কোথায় থাকবেন, প্রেমিকের কাছে না কি স্বামীর কাছে। তা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা। এবার আদালতে গৃহবধূ এবং তার প্রেমিকের বয়ানের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। ওই গৃহবধূর স্বামী রাজেশ দাস বলেন, ‘আমার স্ত্রী এরকম কাণ্ড ঘটিয়েছে ভাবিনি। ভেবেছিলাম হয়ত অপহরণ করা হয়েছে। তাই মনেপ্রাণে চাইছিলাম যে আমার স্ত্রী কে উদ্ধার করা হোক।
বাচ্চাগুলিও তাঁদের মা কে খুঁজে চলেছিল। এবার বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। যা কথা হওয়ার আদালতেই হবে’। রাজেশ দাসের এক আত্মীয় বলেন, ‘সমাজের সামনে আমাদের মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে লজ্জায়। এরপরেও যদি রিংকু বাড়িতে এসে ওঠে তাহলে মান সম্মান বলে কিছুই থাকবে না’।