KMC : ‘মেয়রের আবার রেস্ট রুম কী?’ পুরসভার ‘বিশ্রাম কক্ষ’ নিয়ে আপত্তি ফিরহাদের – firhad hakim reaction about kolkata municipal corporation rest room


‘বিশ্রাম নয়, কাজ করার জায়গা পুরসভা,’ কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিশ্রামকক্ষে ঠিকা কন্ট্রোলারের অফিস খোলা প্রসঙ্গে বললেন বর্তমান মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ওয়ান উইন্ডো সিস্টেম চালু করে ঠিকা শ্রমিকদের হাতে লিজ ডিড তুলে দিতে চাইছেন মেয়র। এর জন্য প্রয়োজন অফিসের। কিন্তু সেই অফিস কোথায় খোলা হবে? এই প্রসঙ্গে মেয়র জানান, রক্সি সিনেমা হলের ওপরে একটা গোটা ফ্লোর খালি পড়ে আছে। সেখানেই অফিস খোলায় পরামর্শ দেন মেয়র। একসময় ওই ফ্লোরেই ছিল ফিরহাদ হাকিমের পূর্বসূরী শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ‘রেস্ট রুম’। সেখানেই দুপুরে বিশ্রাম নিতেন মেয়র।

এই প্রসঙ্গে বর্তমান মেয়ার বলেন, ‘ওই জায়গাটি ভাল করে সাজিয়ে নিন, নিশ্চিন্তে থাকুন। ওখানে কোনওদিনই বিশ্রাম নিতে যাব না।’ প্রসঙ্গত, পুরসভায় অনেকেই বলেন, মেয়র ফিরহাদ হাকিম বরাবরই ঢিমেতালে কাজের বিপক্ষে। তাই সেই রেস্ট রুম প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, ‘মেয়রের আবার রেস্ট রুম কী! পুরসভাটা কাজের জায়গা, এখানে কি কোনও মেয়র বিশ্রাম নিতে আসেন?’ আর মেয়রের এই কথায় সমর্থন জানিয়েছেন পুরকর্তাদের বেশিভাগই। প্রসঙ্গত, এতদিন ঠিকা জমিতে নির্মাণের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরতে হত পুর এলাকার বাসিন্দাদের। তবে ফিরহাদ হাকিম মেয়র হওয়ার পর নয়া নিময় চালু হয়। তাতে জমির লিজ ডিড দিতে শুরু করে পুর প্রশাসন।

Kolkata Municipal Corporation : বাড়ি ভাঙার ‘রাবিশ’ KMC-র হাতে তুলে দেওয়া বাধ্যতামূলক, যোগাযোগ এই নম্বরে
শুধুমাত্র রেস্ট রুম নয়, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সময় কেইআইপি-র সঙ্গে কলকাতা পুরসভার হওয়া চুক্তি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় ফিরহাদকে। সেই চুক্তি অনুযায়ী কলকাতায় কেইআইপি যে যে কাজ করছে, তা নিয়ে অভিযোগ আসছে পুরসভার কাছে। সেক্ষেত্রে কেইআইপি-র কাজে যে তিনি একেবারেই খুশি নন, তা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মেয়র।

এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, ‘একজন কন্ট্রাক্টরকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। রাস্তার ঢাল যেদিকে হওয়া উচিৎ, তিনি তাঁর উলটো দিকে করেছেন। আমি মনে করি ওই কাজের জন্য কেইআইপি-র কনসালট্যান্টকেও কালো তালিকাভুক্ত করা উচিত।’

Firhad Hakim : এলবিএস-রা লোককে মুরগি করেন: ফিরহাদ
অন্যদিকে ফিরহাদ হাকিম নির্দেশ দিয়েছেন, ভেঙে পড়া কোনও বাড়ি বা কোনও বাড়ি ভেঙে ফেলার পরে সেই ধ্বংসস্তূত বাধ্যতামূলকেভাবে কলকাতা পুরসভার হাতে তুলে দিতে হবে, যাতে এই ধরণের বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের প্ল্যান্ট সঠিকভাবে কাজ করতে পারে। এমনকী কোনও নির্মাণের সময় যে বর্জ্য উৎপন্ন হবে, সেগুলিও ওই প্ল্যান্টে পাঠাতে হবে বলে জানিয়েছেন পুরসভার এক আধিকারিক।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *