দত্তপুকুর ফেরাল পিংলার স্মৃতি! সেই অভিশপ্ত সুতি থেকেই বাজি বিস্ফোরণের বলি ৬ কারিগর


মা জানতেন দুই ছেলে রাজমিস্ত্রীর কাজে বাইরে গিয়েছে। পনেরো দিন আগে টাকা চেয়ে ফোন করলে টাকা দিতে পারেনি দুই ছেলে। বলেছিল, এখনও টাকা পায়নি। রবিবার টিভির পর্দায় Duttapukur Blast-এর ঘটনায় বড় ছেলের ঝলসে যাওয়া ছবি দেখেই চিনতে পারেন মা আনকরি বিবি।

Duttapukur Blast Update : বাজি ল্যাব ইটভাটায়! ভেঙে দিল ক্ষিপ্ত জনতা
দত্তপুকুর বাজি কারখানা বিস্ফোরণে দুই ছেলে সহ পরিবারের পাঁচজনকে হারিয়েছেন আনকরি বিবি। ছেলেদের টাকার লোভ দেখিয়ে রাজমিস্ত্রীর কাজে লাগাব বলে বাজি কারখানায় লাগিয়েছিল গ্রামেরই বাসিন্দা মোহন শেখ। এমনটাই অভিযোগ আনকরি বিবির। যদিও মোহন শেখ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
পেশায় কষাই মোহন শেখের পালটা অভিযোগ, প্রাক্তন শ্রমমন্ত্রী জাকির হোসেনের উপর বোমা বিস্ফোরণে জড়িত আনকরি বিবির দেওর ঈশা শেখ। ঈশা শেখ এখন ওডিশার জেলে বন্দি। সেই কেসের অন্যতম সাক্ষি মোহন শেখ। বদলা নিতেই তাকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। দত্তপুকুর বিস্ফোরণ কাণ্ডের পর উঠে আসছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য।

Duttapukur Blast : NIA তদন্ত করলে আপত্তি নেই তৃণমূলের, দত্তপুকুর বিস্ফোরণ নিয়ে চাপানউতোর
দত্তপুকুর বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে নজনের। তারমধ্যে এক নাবালক সহ ছজন সুতির নতিন চাঁদড়া গ্রামের বাসিন্দা। এরমধ্যে আন্দাজ শেখ(২০) ও ছোটন শেখ(১৮) আনকরি বিবির দুই ছেলে। এছাড়াও ওই পরিবারের রনি শেখ(২০), সুজন শেখ(২২) ও হাবিব শেখের(৪০) মৃত্যু হয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দৈনিক মজুরি নয় মাস মাইনেতেই তাদের বাজি কারখানার কাজে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যদিও পরিবারের দাবি, তারা জানত বাজি কারখানা নয় রাজমস্ত্রীর কাজেই তাদের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। গ্রামের কতজন লোক ওই কারখানায় কাজ করত তার সঠিক সংখ্যা এখনও জানা যায়নি। তবে ওই গ্রামের আরও চারজন গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছে বলে জানতে পারা গিয়েছে।

Duttapukur Blast : ছ’মাস আগেই নালিশ থানায়, এলাকাবাসীর প্রশ্নে ‘মাসোহারা’
দত্তপুকুর বিস্ফোরণ কাণ্ডে কার্যত শুনসান সুতির নতুন চাতড়া। মুখে কুলুপ গ্রামবাসীর। দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারখানায় মৃতদের মধ্যে ছ’জন মুর্শিদাবাদের সুতির বাসিন্দা। পুলিস সূত্রে খবর পেয়ে মৃতের দেহ শনাক্তের জন্য রবিবার রাতেই রওনা দিয়েছে পরিবারের লোকজন। জানা গিয়েছে, সুতি থানার জগতাই গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন চাতড়া গ্রামের ১১ জন ওই বাজি কারখানায় কাজ করত দৈনিক মজুরিতে।

‘হঠাৎ বিকট শব্দ মনে হল ভূমিকম্প! ভেঙে পড়ল জানলার কাঁচ’

বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের জেরে নতুম চাতড়ায় কার্যত মৃত্যু মিছিল। সকাল থেকে থমথমে চাতড়া। গ্রাম প্রায় পুরুষ শূন্য। ঘটনায় মুখ খুলতে চাইছেন না কেউ। মৃত পরিবয়ারের বাড়িগুলিতে পুরুষ মহিলা কারও দেখা নেই। এক মহিলা জানালেন, জেল ফেরত রাফিজুল শেখ বাড়িতেই কাপড়ের দোকান খুলেছিল। কিন্তু সেই দোকাম চালাত তার দুই ছেলে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *