ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরা বসানোর প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বলেন, ‘আজ দুপুর দুটোর সময় উচ্চ শিক্ষা দফতরের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন। পড়ুয়ামৃত্যুর ঘটনার পর আমরা কী কী ব্যবস্থা নিয়েছি তা জানানো হবে। ওঁদের যদি কোনও প্রশ্ন থাকে তার উত্তরও দেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী আমরা কাগজপত্র তৈরি করছি। শিক্ষাঙ্গন থেকে কী ভাবে র্যাগিং দূর করা যায়, তার ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হবে।’
সিসিটিভি বসানো প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন রেজিস্ট্রার। তিনি বলেন, ‘সিসিটিভির যে প্রস্তাব এসেছিল, তা আমরা উচ্চশিক্ষা দফতরে পাঠিয়েছি। প্রশাসনিক ও আর্থিক অনুমোদনের জন্য তা পাঠানো হয়েছে। মৌখিকভাবে আধিকারিকরা সম্মতি দিয়েছেন। তবে এর একটা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া রয়েছে। প্রস্তাব নবান্নে পাঠাতে হবে, অর্থ দফতরে দিতে হবে। সেইটুকু সময় আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। পূর্ত দফতরকে দিয়ে যদি করিয়ে নেওয়া যায়। সেক্ষেত্রে WTL-কে যে ওয়ার্ক ওর্ডার দেওয়া হয়েছে, তা তুলে নেওয়ার বিষয়ও রয়েছে। এটা নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে কথা বলতে হবে। নিয়ম বহির্ভূতভাবে কিছু আমরা করতে পারব না। প্রস্তাব গ্রহণ করলেও এখনও আর্থিক সহযোগিতা আমরা পাইনি। আশা করছি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সঙ্গে আলোচনা করতে আমরা সদর্থক ভূমিকা নিতে পারব।’
যাদবপুরের পড়ুয়ামৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলে তিন তলার বারান্দা থেকে পড়ুয়ামৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর ওই পড়ুয়াকে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী ও পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে। পড়ুয়ার বাবার অভিযোগে ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৯ অগাস্ট রাতে ঠিক কী ঘটেছিল, তাঁদের জেরা করে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
অন্যদিকে পড়ুয়ামৃত্যুর ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গা থেকে খালি মদের বোতল ও মাদক ব্যবহারের সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। এই অবস্থায় ক্যাম্পাসে সিসিটিভি বসানোর দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশ সিসিটিভি লাগানোর বিরোধিতায় সরব হয়েছে। আগামী দিনে পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, সেটাই এখন দেখার।