Jadavpur University News : মেস-পিজির চাহিদা তুঙ্গে! যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ‘ঘর’ পেতে হিমশিম পড়ুয়াদের – pg and mess crisis near jadavpur university area new boarders are facing problems


যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) হস্টেলে পড়ুয়ামৃত্যুর ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে। কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে কী ভাবে প্রাক্তনীদের ডেরা হয়ে উঠেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে মৃত পড়ুয়াকে র‌্যাগিং করা হয়েছিল বলে দাবি পরিবারের। পুলিশে তদন্তে সেই অভিযোগ আরও জোরাল হয়েছে। এদিনে হস্টেলে পড়ুয়ামৃত্যুর পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটবর্তী এলাকা মেস ও পেয়িং গেস্ট বা পিজির সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে বলে জানা গিয়েছে।

হস্টেলে পড়ুয়ামৃত্যুর ঘটনার বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক পড়ুয়া ও তাঁদের অভিভাবকরা পিজি বা মেসের খোঁজ করতে শুরু করেছেন। কেউ কেউ অগ্রিম টাকা দিয়ে বুকও করে ফেলছেন স্থায়ী থাকার জায়গা। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টেও এই নিয়ে খোঁজ খবর করতে দেখা গিয়েছে পড়ুয়া ও তাঁদের অভিভাবকদের।

Jadavpur University News : ‘যাদবপুরে CCTV বসতে আর কত দেরি?’, মুখ খুললেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার
যাদবপুর রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকা পিজির চালান দেবাশিস ভট্টাচার্য নামে এক ব্যক্তি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও বেশি পডুয়াদের আস্তানা দিতে তিনি একটি গোটা অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়ায় নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের থাকার ব্যবস্থা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। হস্টেলে পড়ুয়ামৃত্যুর ঘটনার পর লোকের খোঁজখবর নেওয়ার সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েছে। পড়ুয়া ও তাঁদের অভিভাবকদের অনুরোধে নতুনদের স্থান দিতে আমাদের অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়ায় নিতে হয়েছে আপাতত।’

Rajnya Haldar TMC : ঝাঁঝালো বক্তৃতা নয়! TMCP-র সভামঞ্চে ‘অন্য’ ভূমিকায় রাজন্যা
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও এক পিজির মালিক জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া ও তাঁদের অভিভাবকদের থেকে তিনি নিয়মতি ফোন পাচ্ছেন। অনেকেই তাঁর পিজিতে স্থায়ীভাবে চলে আসতে চাইছেন। তিনি বলেন, ‘এক পড়ুয়ার বাব তো আমাকে ফোন করে বলেই বসলেন আমি যেন তাঁর ছেলের বাড়তি যত্ন নিই। পিজির নিরাপত্তার কথাও বারবার তিনি জিজ্ঞেস করছিলেন।’

Jadavpur University ISRO : রাজ্যপালের প্রস্তাবে সমর্থন ISRO-র! যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছে প্রতিনিধি দল
চাঞ্চল্যকর দাবি করছেন যাদবপুর স্টেশন এলাকার আরও এক মেস মালিক। তিনি বলেন, ‘হস্টেলে ওই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এক পড়ুয়া সেখান থেকে আমার মেসে চলে আসে। সেই ওই পড়ুয়াকে তিনতলার বারান্দা থেকে পড়ে যেতে দেখেছিল। যাদবপুরের হস্টেলের কী পরিবেশ, তা ওই পড়ুয়ার থেকেই আমরা জানতে পেরেছি। উত্তরবঙ্গের বাসিন্দা ওই পড়ুয়া আমাকে জানিয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই হস্টেল থাকার উপযুক্ত নয় কোনওভাবেই।’ মেস ও পিজির চাহিদা এতটাই বেশি, যে অনেকেই এখনও ঘর পেয়ে উঠতে পারেননি বলে জানা গিয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *