Recruitment Scams : এবার মধ্যমগ্রাম পুরসভাকে নোটিশ ইডির! ‘কোনও দুর্নীতি হয়নি,’ দাবি চেয়ারম্যানের – madhyamgram municipality has replied to ed notice on recruitment scams


নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার ইডির আতশকাচের তলায় মধ্যমগ্রাম পুরসভা। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই পুরসভাকে চিঠি দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এই চিঠির কথা স্বীকার করেছেন পুরসভার চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষ। একইসঙ্গে ইডি যে যে কাগজপত্র চেয়েছিল, সেগুলিও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান পুরপ্রধান।

পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যেই ইডির নজরে রয়েছে রাজ্যের একাধিক পুরসভা। এবার সেই তালিকায় মধ্যমগ্রাম পুরসভাও। চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষ বলেন, ‘চিঠিতে আমাদের থেকে কিছু কাগজপত্র চেয়েছে। আমরা পাঠিয়ে দিয়েছি। মধ্যমগ্রাম পুরসভা দুর্নীতি করে কোনও কাজ করেনি, আগামীদিনেও করবে না। সরকারের নিয়ম অনুয়ায়ী, যা যা করণীয়, সেই ধাপগুলি মেনে, সরকারের অনুমোদন নিয়ে আমাদের নিয়োগ হয়। আমাদের এখানে পরীক্ষা ছাড়া কোনও নিয়োগ হয় না।’

Recruitment Scam: আরও তৎপর ED, ১২ পুরসভার থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত খুঁটিনাটি তথ্য তলব
ডায়মন্ডহারবার পুরসভাও ইডির নজরে
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে গতকালই শিরোনামে উঠে এসেছিল ডায়মন্ডহারবার পুরসভাও। নোটিশ দেওয়া হয় পুরসভাকে। সেই অনুযায়ী সমস্ত তথ্য পাঠিয়েও দেয় পুরসভা। এর প্রেক্ষিতে পুরসভার চেয়ারম্যান প্রণব দাস অবশ্য বলেন, ‘নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে এটা বলতে পারব না, সেটা আদালতের বিষয়।’

জানা যায়, ২০১৬ সালে ডায়মন্ডহারবার পুরসভায় গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি মিলিয়ে মোট ১৬ জন চাকরিপ্রার্থীকে নিয়োগের জন্য প্রশ্নপত্রের বরাত দেওয়া হয়েছিল অয়ন শীলের সংস্থাকে। পুরসভার ব্যবস্থাপনায় ওই বছরই পরীক্ষা আয়োজিত হয়। সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে ওই সংস্থাকে নির্বাচন করে পুর কর্তৃপক্ষ। স্বচ্ছভাবে নিয়োগের জন্য চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে চারজনের একটি কমিটিও গঠন করা হয়। এরপর ২০১৭ সালে ১৬ জনকে নিয়োগ করা হয় পুরসভায়। পরে সেই নিয়োগেই দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। যদিও পুরসভার তৎকালীন চেয়ারপার্সন মীরা হালদারের দাবি, অয়ন শীলকে তিনি চেনেন না।

Sujit Bose Summon By CBI : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার সুজিত বোসকে CBI তলব
এই প্রসঙ্গে মীরা হালদারের দাবি, ‘২০১৬ সাল থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ওই সময়টা, খুব ভাল মনে নেই। কারণ বিষয়টা অনেকদিন আগে হয়েছে। তারিখটা হয়তো সঠিক ভাবে বলতে পারবো না। ২০১৬ সালের শেষ থেকে ১৭ সালের অগাস্ট মাসের মধ্যে এটা করা হয়েছে। তবে দুর্নীতি বলে যেটা বলা হচ্ছে, সেটা আমরা মনে করছি না। বোর্ড অফ কাউন্সিলরে আলোচনা করা হয়েছিল। যে ভাবে নিয়ম মাফিক কাজ করা হয়, সেই ভাবেই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এজেন্সি মারফৎ প্রশ্ন করেছি ও পরীক্ষা নিয়েছি। আমরা মনে করি সঠিকভাবেই এগনো হয়েছে এবং অ্যাপোয়েন্টমেন্ট দেওয়া হয়েছে। তখন তো টেন্ডারের মাধ্যমেই হয়েছিল। তখন অয়ন শীল কে, আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব ছিল না। আমরা টেন্ডার করে ওই সংস্থাকে দিয়েছিলাম।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *