Sonar Kella House Collapsed : ‘সোনার কেল্লা’র মুকুলের পাড়ায় বিপর্যয়! – satyajit ray story sonar kella mukul old house collapses


এই সময়: ‘সোনার কেল্লা’ ছবিতে কলকাতায় যেটা ছিল মুকুলের পাড়া, সেখানেই বিপর্যয়। তবে সত্যজিৎ রায়ের কাহিনি ও চিত্রনাট্যের মতো ভবানন্দ ও তার চেলার হাতে জাতিস্মর মুকুলের বদলে ‘মিস্টেক’ করে অন্য এক মুকুলের কিডন্যাপ্‌ড হওয়ার ঘটনা নয়। এ বার ওই পাড়ার একটি পুরোনো বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়েছে। ‘সোনার কেল্লা’ ছবির সূত্রে যে বাড়ির সামনে দিয়ে গত শতাব্দীর সাতের দশকে বারবার হেঁটে গিয়েছেন সত্যজিৎ রায়, শুটিং করেছেন সেই বাড়িরই সামনের গলিপথে।

স্মৃতির সেই সরণিই শনিবার ভোর ৫টা নাগাদ কেমন যেন এলেমেলো হয়ে গেল, যখন ভবানীপুরের সেই পদ্মপুকুর তল্লাটে ভেঙে পড়ল পুরোনো বাড়িটি। তার ঠিকানা ২৪-ই পদ্মপুকুর রোড। ছবির শুটিংয়ের সময়ে পুরোনো কলকাতার সেই পাড়ার সার সার রোয়াকওয়ালা বাড়ির সামনের গলিপথ দিয়ে কিংবদন্তি চলচ্চিত্র পরিচালকের হেঁটে যাওয়ার ছবি ধরা পড়েছে স্টিল ফোটোগ্রাফারের ক্যামেরায়। বনেদি কলকাতার চিহ্ন তখন ওই পাড়ার ছত্রে ছত্রে।

Duttapukur Blast News: পায়খানা পরিষ্কার করে উপার্জন, কষ্টার্জিত টাকায় বানানো বাড়ি ‘শেষ’ মাত্র চার মাসেই
বাড়িগুলোয় একই সঙ্গে ইউরোপীয় ও দেশজ স্থাপত্যের মিশ্রণ। ওই পাড়াতেই কালো একটা অ্যাম্বাসাডর গাড়ি করে ঢুকেছিল ভবানন্দ ও তার চেলা। উদ্দেশ্য ছিল, জাতিস্মর মুকুলকে কিডন্যাপ্‌ড করে নিয়ে তারা বেরিয়ে পড়বে সোনার কেল্লার সন্ধানে, মুলুকের কাছ থেকে পাবে রাশি রাশি গুপ্তধনের হদিশ। কিন্তু তার বদলে ভুল করে তারা মুকুল নামেই পাড়ার অন্য এক খুদেকে ঠিকানা খোঁজার অছিলায় অজ্ঞান করে কিডন্যাপ করে নিয়ে গিয়েছিল।

Ankush Hazra First Salary : ২ কোটির অফার শুনেই অজ্ঞান! অভিজ্ঞতা ভাগ অঙ্কুশের
পরে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে ঘুমের ওষুধ মেশানো দুধ খাইয়ে অন্য সেই মুকুলকে বেহুঁশ করে তারা এনেই ফেলে দিয়ে গিয়েছিল ওই পাড়ার গলিতে। সেই পাড়ার যে বাড়িটি এ দিন ভেঙে পড়েছে, তার গায়ে ‘বিপজ্জনক’ তকমা দিয়ে আগেই বোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছিল কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগ। তবে একবার সরে গেলে আর ঠাঁই মিলবে না, সেই আশঙ্কায় বাড়ি ছেড়ে যাননি কেউই। বাড়িটি যখন ভেঙে পড়ে সেই সময়ে ভিতরে ছিলেন কেবল এক জন প্রৌঢ়।

তবে তাঁর কোনও আঘাত লাগেনি বলে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের কর্তাদের বক্তব্য, টানা বৃষ্টির কারণেই দোতলা বাড়িটির ভিতের একাংশ নরম হয়ে পড়েছিল। তার পর এ দিন ভোরের ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান স্থানীয়, ৭০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অসীম বসু।

Cooch Behar Clock Tower : পুজোর আগেই শহরে বড় চমক, বসছে লন্ডনের আদলে ক্লক টাওয়ার
তিনি বলেন, ‘বারবার বাড়ির মালিককে সতর্ক করলেও তিনি মেরামতি ও সংস্কারের কাজে হাত দেননি। বাড়িটি সংস্কারের কাজ যাতে শুরু হয়, সে বিষয়ে পুরসভার সঙ্গে কথা বলে পদক্ষেপ করা হবে।’ তবে তাতে কি আর এ দিন এলোমেলো হয়ে পড়া স্মৃতি ফিরে আসবে!



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *