মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর ব্লকে সমস্ত পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি দখল করেছে তৃণমূল। কিন্তু নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব গ্রহণের আগে মুচলেকা জমা দিতে হচ্ছে বিধায়কের হাতে। কাজে দুর্নীতি, দল বিরোধী বা জনবিরোধী কোনও কাজ করলে পদ থেকে বরখাস্ত করা হবে। এমনই লিখিত মুচলেকা বিধায়ক জাকির হোসেনকে জমা দিতে হচ্ছে পঞ্চায়েতের সদস্য থেকে প্রধান, উপপ্রধান,পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্যদের।
জঙ্গীপুর ব্লকের ১০টি পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানরা এই মুচলেখা দেওয়ার পরেই দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। জরুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ইয়াকুব আলি বলেন, ‘আমাদের বিধায়ক লিখিত মুচলেকা নেওয়ায় খুব ভালো হয়েছে। আমরাও সতর্ক থাকব যাতে কোনও কাজে আমরা ভুল না করি।’ কানুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মেহের শেখ বলেন, ‘পদ পাওয়ার পরেও মানুষের কথা ভুলে যাচ্ছে বেশিরভাগ নেতারাই। সেই কারণে ভোট চাইতে গেলে মানুষের কাছে মুখ পুড়ছে। এই কারণেই আমাদের নেতা মুচলেকা লিখিয়ে নিয়েছেন।
বিধায়ক জাকির হোসেন বলেন, ‘রাজ্য সরকারের একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প রয়েছে। সেগুলি থেকে যাতে সাধারণ মানুষ বঞ্চিত না হয় সেই কারণে আমি এই উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিটি পঞ্চায়েতের প্রধান উপপ্রধান দুর্নীতিগ্রস্থ হলে তাঁদের পদ থেকে বরখাস্ত করা হবে বলে মুচলেকা নিয়েছি। আমরা মানুষের জন্য কাজ করতে চাই।’
কংগ্রেস নেতা হাসানুজ্জামান বলেন, ‘চোরের মায়ের বড় গলা। তোলাবাজি না করলে এই দল চলবে কী করে। সবই নাটক হচ্ছে।’ বিজেপির জেলা সভাপতি ধনঞ্জয় ঘোষ বলেন, ‘পঞ্চায়েতে একটা সার্টিফিকেট নিতে গেলেও টাকা নেন পঞ্চায়েতের সদস্যরা। সেখানে মুচলেকা হাস্যকর।’ শর্তভঙ্গ করলে দণ্ডভোগ