এদিকে সামনেই আসছে দুর্গাপুজো। আর দুর্গাপুজোর সময় বিশেষ পরিষেবা দেয় মেট্রো কর্তৃপক্ষ, যার ফলে ব্যাপক উপকৃত হন দর্শনার্থীরা। আর এখন যেহেতু জোকা-তারাতলা মেট্রো পরিষেবা চালু হয়ে গিয়েছে, সেক্ষেত্রে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ এই বছর উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এমন অনেক মণ্ডপ রয়েছে, যেগুলিতে এই রুটের মেট্রোর মাধ্যমে খুব সহজেই পৌঁছে যাওয়া যাবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক এই করিডোরের মাধ্যমে কোন পুজোগুলিতে পৌঁছে যাওয়া যাবে সহজেই।
জোকা-তারাতলা করিডোর সংলগ্ন পুজোগুলি কী কী?
এই করিডোরের স্টেশনগুলো হল জোকা, ঠাকুরপুকুর, শখের বাজার, বেহালা চৌরাস্তা, বেহালা বাজার ও তারাতলা। এক্ষেত্রে ঠাকুরপুকুর স্টেশন থেকে তাড়াতাড়ি পৌঁছে যাওয়া যাবে এসবি পার্কের পুজো মণ্ডপে। শখের বাজার থেকে দ্রুত পৌঁছতে পারবেন বড়িশা সর্বজনীন ও উদয়ন ক্লাবের পুজোয়। বেহালা চৌরাস্তা স্টেশন থেকে তাড়াতাড়ি পৌঁছন যাবে বড়িশা ক্লাব ও প্লেয়ার্স কর্নারের পুজো প্যান্ডেলে। বেহালা বাজার মেট্রো স্টেশনে নামলে সামনেই পাবেন নূতন দল ও দেবদারু ফটকের পুজো। আর তারাতলা মেট্রো স্টেশনের কাছেই পাবেন চেতলা অগ্রণী ও সুরুচি সংঘের পুজো মণ্ডপ।
এদিকে নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো করিডোরের কাজও চলছে জোর কদমে। এই রুটে পরিষেবা চালু হওয়ার একটা সম্ভাব্য দিনক্ষণও ঘোষণা করেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়ে সম্প্রতি মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার জানান, চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে কবি সুভাষ থেকে বেলেঘাটা পর্যন্ত পৌঁছে যাবে মেট্রো লাইন। তারপর আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে সেক্টর ফাইভের আইটি পার্ক পর্যন্ত এগিয়ে যেতে পারে মেট্রো প্রকল্পের কাজ। তারপর ওই বছরেরই ডিসেম্বরের মধ্যে মেট্রোর কাজ সিটি সেন্টার টু পর্যন্ত এগিয়ে যাবে বলে আশা জেনারেল ম্যানেজারের। আর ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বিমানবন্দর পর্যন্ত এগিয়ে যাবে এই করিডোরের মেট্রো পরিষেবা।