Anubrata Mondal: বাংলা থেকে দিল্লিতে সরল গোরু পাচার মামলা – cattle smuggling case moved to delhi rouse avenue court from asansol cbi court


Cattle Smuggling Case: শেষ পর্যন্ত আসানসোল থেকে দিল্লিতে সরল গোরু পাচার মামলা। ইডির আবেদনের ভিত্তিতে গোরু পাচার সংক্রান্ত সমস্ত মামলা দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্টে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দিলেন আসানসোল সিবিআই আদালতের বিচারক রাহেশ চক্রবর্তী। এই সংক্রান্ত আর কোনও মামলার শুনানি আর আসানসোল সিবিআই আদালতে হবে না। গোরু পাচার মামলা দিল্লিতে সরায় অনুব্রত মণ্ডল বিপদ আরও বাড়ল বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে অনুব্রত মণ্ডলের জামিন বা বাংলায় ফেরার আশা একবারে নেই বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Anubrata Mondal : কেষ্ট-মামলায় ফের ধাক্কা ইডির

২৮ জুলাই গোরুপাচার সংক্রান্ত সমস্ত মামলা দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসানসোল সিবিআই আদালতে আবেদন করেছিল ইডি। গত ১৯ অগাস্ট এই সংক্রান্ত প্রথম শুনানি হয়। বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী ইডিকে প্রশ্ন করেছিলেন, কোন অধিকারে এই মামলার তদন্ত তারা করছে? পাশাপাশি বিচারক জানতে চান, গোরু পাচার মামলায় বাংলা থেকে ৫০০ সাক্ষীকে কীভাবে দিল্লি নিয়ে যাওয়া সম্ভব? নির্দিষ্ট নথি দেখাতে না পারায় সেদিন শুনানি সম্পূর্ণ হয়নি। গত শনিবার ফের এই মামলার শুনানি হয়। কিন্তু, নির্দিষ্ট নথি না দেখাতে পারায় ঝুলে থাকে মামলা। বিচারক পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন ৬ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বুধবার। এদিন ইডি আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র ৪৪ (১/সি) ধারার স্বপক্ষে নোটিফিকেশন দেখান বিচারককে।
Coal Smuggling Case: মলয় ঘটককে কলকাতাতেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে নির্দেশ ইডিকে

১ জুলাই ২০০৫ সালে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের জারি করা নোটিফিকেশন পেশ করেন ইডির আইনজীবী । সেই নোটিফিকেশনে ইডি কে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় 44/1C ধারায় মামলা স্থানান্তরের আবেদন করতেই পারেন বলে উল্লেখ করা আছে । যা দেখে আজ সন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারক । যদিও এই আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করেন অনুব্রতর আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ । তিনি আবেদন করেন, সিবিআই-এর মামলা যত দিন না সমাপ্ত হচ্ছে, ততদিন যেন এই আবেদন স্থগিত রাখা হয় ।
Anubrata Mondal : কেষ্ট ঘনিষ্ঠ কৃপাময়কে তলব করল সিবিআই!

অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী কোর্টে সওয়াল করেন, বাংলা থেকে প্রায় ৫০০ জন সাক্ষীকে নিয়ে যেতে হবে দিল্লি। যা কষ্টদায়ক। পাশাপাশি, নতুন কাউকে এই মামলায় গ্রেফতার করা হলে তাকেও দিল্লি রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্টে তুলতে হবে। যদিও বিচারক দুপক্ষের সওয়াল জবাবের পর ইডির আবেদনের পক্ষেই রায় দেন। আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মামলাকে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দেন বিচারক। গোরু পাচার মামলা সংক্রান্ত কোনও শুনানি আসানসোল সিবিআই কোর্টে হবে না। অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ জানান, তারা উচ্চতর আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন। অর্ডারের সম্পূর্ণ কপি দেখার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *