পরিবারের অভিযোগ
সুরেন্দ্রনাথ কলেজের স্ট্যাটিস্টিক্স বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বাগতর মৃত্যুতে হতবাক সকলে। জানা গিয়েছে, রবিবার ৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে শিয়ালদা যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে বেরোয় সে। এরপর থেকেই তাঁর আর কোনও খোঁজ মেলেনি।
পরিবারের দাবি, হাবরা থেকে শিয়ালদহ কলেজের প্রজেক্ট আনতে যাওয়ার পর আর বাড়ি না ফেরায় তারা খোঁজাখুঁজি শুরু করে। অবশেষে পুলিশ খবর দেয়, পূর্ব মেদিনীপুরের ক্ষীরাইয়ে রেল লাইনের পাশ থেকে ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তবে পরিবারের তরফ থেকে মৃত্যুর সঠিক তদন্তের দাবি করেছে। এলাকায় মেধাবী ছাত্র বলে পরিচিত এই স্বাগত বণিক। এই রহস্য মৃত্যু ঘিরে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। রবিবার মৃত্যু হলেও স্বাগতর বাড়ির লোক তা জানতে পারেন সোমবার রাতে।
উঠছে একাধিক প্রশ্ন
বাড়ি থেকে প্রায় ১১৮ কিলোমিটার দূরে তার মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরেও পরিবার ও প্রতিবেশীরা তুলছেন একাধিক প্রশ্ন? মঙ্গলবার রাতে মৃত দেহ ছাত্রের বাড়িতে আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন আত্মীয় পরিজনেরা। কী ভাবে এই মৃত্যু, তা নিয়ে ক্রমশ রহস্য দানা বাঁধছে সকলের মনে।
স্বাগতের বাবার দাবি, ‘এর মধ্যে নিশ্চয় কোনও চক্রান্ত আছে। পাঁশকুড়ায় আমাদের কোনও পরিচিত নেই। মনে হয় কোনও বন্ধুবান্ধব এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে।’ স্বাগতের দিদির দাবি, ‘আত্মহত্যার উদ্দেশ্য থাকল ভাই পাঁশকুড়া কেন যাবে! দরকার পড়লে হাবড়া থেকে শিয়ালদা যাওয়ার পথে করতে পারত। কষ্ট করে অতদূর কেন যাবে?’
পুলিশি তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য
পাঁশকুড়া জিআরপি-এর থেকে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে মালগাড়ির ধাক্কায় একজনের দু টুকরো হয়ে যাওয়ার খবর মেলে। সেখান থেকে দেহ উদ্ধার করে রেল পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, মধ্যবিত্ত বাড়ির ছেলে স্বাগত গত কয়েক মাস ধরে নিয়মিত পাঁচতারা হোটেলে খাওয়া দাওয়া করতেন। বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে নিত্য বিলাসবহুল জীবনযাপনে উঠছে প্রশ্ন। অথচ বাড়ি থেকে এক পয়সা বাড়তি নিতেন না স্বাগত বলে জানিয়েছে পরিবার। কীভাবে আসত পাঁচতারা হোটেলের খরচ, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।