মমতার ঘোষণা
এদিন কবে পালিত হবে পশ্চিমবঙ্গ দিবস এবং কী হবে রাজ্য সংগীত, এই সিদ্ধান্ত পাশ হওয়ার পরই বিশেষ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে বিধায়কেরা সবথেকে কম ভাতা পান। দেশের নিরিখে সব থেকে কম টাকা বেতন পান। এই বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতি মাসে বিধায়করা যে ১০ হাজার টাকা করে পেতেন তা বাড়ানো হল। প্রতিমন্ত্রীরা এতদিন পেতেন ৯ হাজার ৫০০, মন্ত্রীরা ১১ হাজার টাকা করে প্রতিমাসে পেতেন। এখন থেকে প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রীরদের বেতন ৪০ হাজার টাকা করে বাড়ানো হল। অতএব এখন থেকে মন্ত্রীরা পাবেন ৫১ হাজার টাকা এবং বিধায়ক ও প্রতিমন্ত্রীরা পাবেন ৫০ হাজার টাকা।’
নিজের ভাতা বাড়াতে অনিচ্ছুক মুখ্যমন্ত্রী
সামনেই পুজো। তার আগে মূল্যবৃদ্ধি ও বাকি রাজ্যের বিধায়কদের ভাতার সঙ্গে এরাজ্যের বিধায়কদের ভাতা তুল্যমূল্য বিচার করে এদিন বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তিনি একইসঙ্গে এও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, বিধায়ক মন্ত্রীদের ভাতা বাড়লেও মুখ্যমন্ত্রী নিজের সমস্ত ভাতা থাকছে অপরিবর্তিত। তিনি বক্তব্য পেশ করে বলেন, ‘বিধায়ক মন্ত্রীদের ভাতা বাড়ানো হলেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বেতন বৃদ্ধির কোনও প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে না। বেতন বৃদ্ধির পর নয়া পরিকাঠামোতেও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বেতন থাকবে অপরিবর্তিত।’
অধ্যক্ষের অনুরোধ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য শোনার পর অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমেই তাঁকে সাধুবাদ জানান ও পরে তাঁকে পরিবর্তিত বেতন কাঠামো অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রীর ভাতা বৃদ্ধিরও আবেদন জানান। তিনি বলেন, ‘সবার বেতন বাড়ল, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী নিজে নিলেন না এটা কেমন করে হয়। আপনি বেতন নেন না, সেটা আপনার মহানুভবতা। কিন্তু সংশোধনটা আপনার ক্ষেত্রে হলেও ভালো হয়। ভবিষ্যতের কথা ভেবে সরকারিভাবে, খাতায় কলমে আপনারটাও বাড়ানো হোক। নইলে বিষয়টা ঠিক দেখায় না। আমার অনুরোধ আপনার ভাতাও বৃদ্ধি করা হোক।’ কিন্তু এরপরেও নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতার জবাব
বিনয়ের সঙ্গে প্রস্তাব খারিজ করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাব। বলেন, ‘আমি স্পিকারের কথা ও পদের সম্মান রেখেই বলছি। সাত বারের সাংসদ আমি। ১ লাখ টাকারও বেশি পেনশন পাই। কিন্তু একটি পয়সাও নিই না। বিধায়ক এবং মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও কোনওদিন সরকারের থেকে এক পয়সা নিইনি কখনও। আমি মনে করি, মা-মাটি-মানুষের সরকার, যতটা প্রয়োজন ঠিক ততটাই নেওয়া উচিত। আমার অনেক বই আছে। সেই বইয়ের রয়্যালিটিতেই আমার চলে যায়।’
