Governor Of West Bengal : ‘মধ্যরাতের অ্যাকশন’! দুই গোপন চিঠিতে সই রাজ্যপাল বোসের – c v ananda bose governor of west bengal has signed 2 confidential letters at midnight


মধ্যরাতের কথা বলে ব্যাপক সাসপেন্স তৈরি করেছিলেন তিনি। রাজনৈতিকমহলে চড়তে শুরু করেছিল জল্পনার পারদ। অবশেষ সেই জল্পনার অবসান। মধ্যরাতে ২টি ‘কনফিডেন্সিয়াল’ চিঠিতে সই করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সেই চিঠিগুলির মধ্যে একটি যাবে নবান্ন, অপরটির ঠিকানা দিল্লি। দুঠি গোপনীয় চিঠিই সিল করা খামে পাঠাচ্ছেন তিনি।

কী আছে ওই দুই চিঠিতে?
রাজ্যেপালের সই করা ওই দুই চিঠিতে কী আছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে সবমহলেই। যদিও রাজভবন থেকে এই বিষয়ে নির্দিষ্টভাবে কিছু বলা হয়নি। রাজনৈতিকমহলের একাংশ মনে করছে, বেশ কয়েকটি বিষয় থাকতে পারে ওই দুই চিঠিতে। এর মধ্যে একটি বিষয়ের থাকার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। সেটি হল রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় টানাপোড়েন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে বারেবারেই রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে। বারেবারেই রাজ্যপালের সমালোচনা করতে দেখা গিয়েছে শিক্ষামন্ত্রীকে। তাই এই বিষয়টি সেই চিঠিতে উল্লেখ থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

Bratya Basu News : ‘সাবধান! শহরে নতুন রক্তচোষা…’, রাজ্যপাল বোসকে ‘অলআউট’ আক্রমণে শিক্ষামন্ত্রী বসু?
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার বিকাশ ভবনে রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বৈঠকের পর উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে ‘মহম্মদ বিন তুঘলক’ বলে কটাক্ষ করেন ব্রাত্য। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে পালটা মুখ খোলেন রাজ্যপাল। শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য নিয়ে গতকাল রাজ্যপালকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি যা করেছি তাতে খুশি, মধ্যরাত অবধি অপেক্ষা করুন, বুঝতে পারবেন পদক্ষেপ কাকে বলে।’

রাজ্যপালের এহেন মন্তব্যের পরেই ব্যাপক জল্পনা ছড়ায় রাজ্যজুড়ে। তার প্রেক্ষিতে কারও নাম না করে পালটা প্রতিক্রিয়া দেন শিক্ষামন্ত্রী। এক্স হ্যান্ডেলে ব্রাত্য বসু লেখেন, ‘মধ্যরাত পর্যন্ত দেখুন, অ্যাকশন দেখুন। সাবধান! সাবধান! সাবধান! শহরে নতুন ভ্যাম্পায়ার এসেছে! নাগরিকরা নিজেদের দিকে খেয়াল রাখুন। পুরাণ অনুসারে রাক্ষস প্রহরের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’

CV Ananda Bose : রাজ্যপালের ‘মধ্যরাত’ হুঁশিয়ারি! হঠাৎ রাজভবনে মুখ্যসচিব, তুঙ্গে জল্পনা
এইসবের মাঝে আবার হঠাৎ করেই রাজভবনে যান মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদি। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর রাজভবন থেকে বেরোন মুখ্যসচিব। কিন্তু, সেখানে কী কথা হয়েছে, সেই বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি। তাই সেখানেও বাড়তে থাকে জল্পনা। আর তারপরেই পূর্ব ঘোষিত সময়ে চিঠি দু’টিতে সই করেন রাজ্যপাল। এখন দেখার সেই চিঠির প্রেক্ষিতে পালটা কী পদক্ষেপ করে রাজ্য। তবে রাজনৈতিকমহলের একাংশ মনে করছে শিক্ষা দফতর ও রাজ্যপালের সংঘাত যে পথে যাচ্ছে, তা যে কোনও মুহূর্তে নতুন কোনও মোড় নিতে পারে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *