যদিও এই নিয়ে তোলপাড় টলিপাড়া এবং রাজনৈতিক মহল। টলিউড এবং রাজনীতি উভয় ক্ষেত্রেই অবাধ বিচরণ অভিনেতা তথা BJP নেতা রুদ্রনীল ঘোষের। এবার নুসরত জাহান প্রসঙ্গে সরব হলেন তিনিও। এমনকী, অন্যান্য অভিনেত্রীদের তুলনায় নুসরতের সঙ্গে খুব একটা বেশি কাজ তিনি করেননি এমনটাই জানালেন অভিনেতা। পাশাপাশি নুসরত কি তাঁর বন্ধু? ‘সহকর্মী’ জবাব দিয়ে সযত্নে প্রশ্ন এড়ালেন তিনি।
ঠিক কী বলেছেন রুদ্রনীল?
ফ্ল্যাট নির্মাণের নামে প্রতারণার অভিযোগে নাম উঠে এসেছে নুসরত জাহানের। একটি সাংবাদিক বৈঠক করে এই যাবতীয় দাবি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছিলেন নুসরত। কিন্তু, নতুন করে তাঁকে ED তলব করায় বিষয়টি চর্চায় উঠে আসে।
এবার নুসরত প্রসঙ্গে মুখ খুললেন রুদ্রনীলও। অভিনেতা বলেন, “একটি নির্মাণকারী সংস্থার ডিরেক্টর পদে ছিলেন নুসরত। এই সংস্থা একাধিক মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যে সংস্থার বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে সেখান থেকে বড় অংকের টাকা পান নুসরত। এরপর একপাক্ষিকভাবে মিডিয়ার সামনে আসে তিনি। জানান, একটি টাকা তিনি লোন নেন এবং তা ফেরতও দেন।”
রুদ্রনীলের সংযোজন, “তিনি সুদ সমেত যে টাকা তিনি ফেরত দিয়েছেন সেই সুদ সারা ভারতবর্ষের সমস্ত ব্যাঙ্কের সুদের থেকে বেশি। সাধারণত মানুষ সেই জায়গা থেকে লোন নেয় সেখানে সুদ সবথেকে কম। কিন্তু, তিনি যে অঙ্ক ফেরত দেওয়ার কথা বলছেন সেই হিসাবে সুদ সব ব্যাঙ্কের থেকে বেশি।”
অভিনেতার প্রশ্ন, “যে সময়টার কথা বলা হচ্ছে সেই সময় তো তিনি খ্যাতির মধ্য গগনে ছিলেন। সেই সময় বালি, সিমেন্ট সংক্রান্ত একটি সংস্থার ডিরেক্টরই বা কেন হবেন তিনি? তাঁর বক্তব্যে যে যে সন্দেহ উঠে এসেছে তা খণ্ডন করার দায়িত্ব তাঁর।”
নুসরত জাহানের সঙ্গে একাধিক ছবিতে দেখা গিয়েছে রুদ্রনীলকে। সেক্ষেত্রে অভিনেত্রী কী তাঁর বন্ধু? এই প্রশ্ন সযত্নে এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। রাজ চক্রবর্তী এবং কাঞ্চন মল্লিককে অবশ্য নিজের স্ট্রাগল বেলার সঙ্গী বলে উল্লেখ করেছেন রুদ্রনীল। তবে নুসরতের সঙ্গে তিনি ‘খুব বেশি ছবি’ করেননি বলে জানান এই BJP নেতা।