কী ঘটেছে?
রানাঘাট, পুরুলিয়ার মত বড়সড় ডাকাতির পরিকল্পনা ভেস্তে দিল বেলপাহাড়ি থানার পুলিশ। পুলিশের তৎপরতায় গ্রেফতার হল ৫ দুষ্কৃতী। ধৃতদের নাম প্রশান্ত সেন, সন্দীপ পরামানিক, শেখ আবু আলী, শেখ নাসিরউদ্দিন, শেখ ঈশাক। এদের মধ্যে প্রশান্ত ও শেখ আবু আলির বাড়ি বিনপুর থানার শিলদা গ্রামে। একইসঙ্গে নাসিরুদ্দিনের বাড়ি বিনপুর থানার বিনপুর গ্রামেই। অপরদিকে সন্দীপের বাড়ি বাঁকুড়া জেলার রাণীবাঁধ থানার ধনাড়ু গ্রামে ও শেখ ঈশাকের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুর থানার উত্তর কোদেবাড় গ্রামে। তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও সাদা কাগজে হাতে আঁকা এলাকার ম্যাপ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ কী জানাচ্ছে?
পুলিশের অনুমান, রানাঘাট ও পুরুলিয়ার ধাঁচে তারা ডাকাতি করার পরিকল্পনা করেছিল। শনিবার গভীর রাতে কাঁটাবনী জলের ট্যাঙ্কের পাশ থেকে তাদের গ্রফতার করে পুলিশ। রবিবার ধৃতেদের ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হলে পুলিশ সন্দীপ ও প্রশান্তকে ৫ দিন পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানায়। বিচারক তাদের ৩ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে বাকি ৩ জনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
আর কী জানা যাচ্ছে?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলপাহাড়ি থানা এলাকা ও সীমান্ত লাগোয়া ঝাড়খণ্ড রাজ্যে বেশ কয়েকবার গাড়ির ব্যাটারি সহ বিভিন্ন জিনিস চুরি ও ছিনতাই যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ পাওয়ার পর তড়িঘড়ি তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্তে নেমে একটি গ্যাংয়ের কথা উঠে আসে। এরপর দুষ্কৃতীদের ধরতে তদন্ত চালিয়ে যায় বেলপাহাড়ি থানার পুলিশ। শনিবার গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পারে, কাঁটাবনী জলের ট্যাঙ্ক সংলগ্ন এলাকায় কিছু অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি জড়ো হয়েছে। খবর পেয়ে সেই এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ বাহিনী।
নজরদারি চালিয়ে ধাওয়া ডাকাত দলকে
পুলিশের গাড়ি কিছুটা দূরে রেখে তাদের উপর নজরদারি চালাতে শুরু করেন কর্তব্যরত পুলিশের আধিকারিকরা। বেগতিক বুঝে ওই এলাকা ছেড়ে পালাতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। এরপর পুলিশ বাহিনী ধাওয়া করতে শুরু করে। বেশ কিছুজন পালিয়ে গেলেও, পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ। থানায় লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদের পর ডাকাতির পরিকল্পনা জানায় দুষ্কৃতীরা।
পুলিশ জানতে পারে, প্রশান্ত ডাকাতি করার পরিকল্পনা করে বিনপুর থানা শুকজোড়া গ্রামে। তারা বিভিন্ন চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় অভিযুক্ত রয়েছে। বেলপাহাড়ির এসডিপিও উত্তম গড়াই জানান, এই ঘটনার সঙ্গে যারা যুক্তি রয়েছে তাদের কাউকেই ছাড় পাবে না। ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।