জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে ওই এলাকায় প্রতিদিনের মতোই বোতল কুড়োতে যান স্থানীয়রা। তখনই তাঁরা পাথরের ওপর ওই তরুণীকে পড়ে থাকতে দেখেন। তরুণীরে পরনে ছিল শুধু অন্তর্বাস। দেহটি নজরে আসার পরেই চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় মন্দারমণি কোস্টাল থানা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। ঘটনায় স্থানীয় মানুষজনের দাবি, ওই তরুণী এলাকার বাসিন্দা নন। তাঁদের অনুমান ওই তরুণী বাইরের, তাঁকে ওই মন্দারমণিতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে।
এ ধরনের ঘটনা ঘটায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয় মানুষ এবং পর্যটকদের মধ্যে। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, সি মেরিন ড্রাইভ এলাকায় রাস্তা শুনশান থাকার কারণে এবং রাস্তার পাশে পর্যাপ্ত স্ট্রিট লাইট না থাকার কারণে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা বাড়ছে। তাই স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে ওই এলাকায় বাড়ান হোক স্ট্রিট লাইট। সঙ্গে বাড়ান হোক পুলিশের নজরদারিও।
অসীত মণ্ডল নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘সকালে শুনলাম এখানে একটা দেহ পড়ে আছে। তারপর আমি এলাম। প্রধানকেও খবর দেওয়া হল। পুলিশ থেকে সিভিককে ফোন করে দেহটি ওপর দিকে তোলা হয়েছে। আমরা চাইছি, স্থানীয় প্রশাসন এই রাস্তায় পেট্রোলিং বাড়াক। এটা একটা জরুরি রাস্তা। এই রাস্তার ওপরে আলোর ব্যবস্থা করা। আগে স্ট্রিট লাইট ছিল, এখন না থাকায়, জায়গাটা অন্ধকার থাকে।’ ওই ব্যক্তির দাবি, আগেও এই ধরণের ঘটনা ঘটেছে। কিছুদিন আগে শংকরপুর বাঁধের অপর প্রান্তেও একটি দেহ ভেসে আসে বলে জানান তিনি। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত পুলিশের কোনওরকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এদিকে দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের এক্সিকিউটিভ অফিসার মানসকুমার মণ্ডল জানান, ‘এলাকায় আলোর অভাব রয়েছে, এই ধরনের কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহন করবো। পর্যটক থেকে স্থানীয়দের যাতে কোনও রকমের সমস্যার মধ্যে পড়তে না হয় তার ব্যবস্থা করা হবে।’