নজরদারি বৃদ্ধির দাবি
মন্দারমণির হোটেল ব্যবসায়ী বলরাম করণ বলেন, ‘এই ধরণের ঘটনায় আমরা খুবই চিন্তিত। পুজোর সময় রাজ্য, ভিন রাজ্যে এমনকী ভিন দেশের বহু পর্যটকও আসেন। এই ধরণের ঘটনা কিছুটা হলেও পর্যটকদের মনে ভয়ের সঞ্চার করবে। এই ধরণের ঘটনা যাতে আগামী দিনে না ঘটে, তার জন্য প্রশাসনের নজদারি বাড়ানো এবং এলাকা আলোকিত করার আবেদন জানাচ্ছি।’
মন্দারমণি হোটেল ব্যবসায়ী সমিতির প্রাক্তন সম্পাদক সন্দীপন বিশ্বাস বলেন, ‘নিরাপত্তা ব্যবস্থা যাতে আরও বাড়ানো হয় তার আবেদন আমরা আগেই জানিয়েছিলাম প্রশাসনের কাছে। পুজোর আগে এই ধরণের ঘটনায় আমরা খুবই চিন্তায় পড়েছি। আগামীদিনে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে, সেদিকে পুলিশ প্রশাসনের কড়া নজরদারির দাবি জানাচ্ছি। এই ধরণের ঘটনা ঘটতে থাকলে আগামীদিনে পর্যটকদের সংখ্যা কমতে থাকবে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করুক, এটাই আমরা চাইছি।’
যা বলছেন পর্যটকরা…
এদিকে দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের এক্সিকিউটিভ অফিসার মানসকুমার মণ্ডল বলেন, ‘পর্যটকদের যাতায়াতের জন্য যেমন সুন্দর রাস্তা করা হয়েছে তেমনই আলোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে। পর্যটক থেকে স্থানীয়দের যাতে কোনও রকমের সমস্যায় পড়তে না হয়, তার জন্য আমাদের সর্বদা নজর রয়েছে। যে ঘটনাটি ঘটেছে তা দুঃখজনক। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয়দের দাবি খতিয়ে দেখে আগামীদিনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পর্যটক দম্পতি বলেন, ‘দিঘা থেকে মন্দারমণি পর্যন্ত সুন্দর রাস্তা করে দিয়েছে সরকার। কিন্তু সেইভাবে নজদারি নেই। বিস্তীর্ণ এলাকায় দুষ্কৃতীরা অপরাধ করে চলে যাচ্ছে, যা আজ দেখা গেল। পর্যাপ্ত আলোর পাশাপাশি নজরদারি বাড়ানো হোক।’ সকালে দেহটি উদ্ধারের পর সেটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে মনে করছে পুলিশ। গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা।