CV Ananda Bose : রাজভবনের হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় ধন্দে উপাচার্যরাই, টিচার্স সিলেকশন কমিটিতে প্রশ্ন – interim vice chancellors are in doubt after raj bhavan whatsapp message about the formation of 25 teachers selection committee


এই সময়: রাজ্য-রাজ্যপাল দ্বন্দ্বে এই প্রথম সংশয়ে পড়লেন আচার্য সিভি আনন্দ বোসের নিযুক্ত উপাচার্যরা। মঙ্গলবার রাতে আচমকা রাজভবনের তরফে এক হোয়াটস অ্যাপ বার্তায় ২৫টি টিচার্স সিলেকশন কমিটি গঠনের কথা বলা হয়। বুধবার দিনভর চর্চা করেও তার কিনারা করতে পারেননি আচার্য নিযুক্ত একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্যরা। তাঁদের কথায়, রাজভবন বা রাজ্যপালের তরফে এ ব্যাপারে কোনও সার্কুলার এবং নির্দেশিকা জারি না করলে স্পষ্ট করে কিছু বলা সম্ভব নয়। তাঁদের কথায়, শিক্ষক নিয়োগের বাছাই কমিটি নিয়ে আমাদের সঙ্গেও রাজভবনের কোনও কথা হয়নি। অন্য কোথাও শিক্ষাবিদদের সঙ্গে আলোচনা করে রাজভবন টিচার্স সিলেকশন কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কি না, তা আমাদের জানা নেই।

CV Ananda Bose : আচার্যের ভূমিকার প্রতিবাদ, রাজভবনের সামনে অবস্থান
একাধিক ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বলছেন, ‘শিক্ষক নিয়োগের এই বাছাই কমিটির বিষয়ে আলোচনা করতে সাম্প্রতিক অতীতে তাঁদের সঙ্গে আচার্য-রাজ্যপালের কোনও বৈঠক হয়নি। ফলে এ ব্যাপারে ভালো করে না জেনে মন্তব্য করা যুক্তিসঙ্গত নয়।’ এমনকী রাজভবনের হোয়াটস অ্যাপ বার্তা সংশ্লিষ্ট উপাচার্যদের পাঠানোর পরেও তা বুঝতে না পারায় এ ব্যাপারে ধন্দ আরও বেড়েছে। দুই অভিজ্ঞ অন্তর্বর্তী উপাচার্য জানান, শিক্ষক নিয়োগের সিলেকশন কমিটি রাজ্যপাল-আচার্য গঠন করেন না।

CV Ananda Bose : শিক্ষক নিয়োগে রাজ্যপালের কমিটি!
বরং এই ক্ষেত্রে যে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ হবে, সংশ্লিষ্ট উপাচার্যর প্রতিনিধিই সেই কমিটির চেয়ারম্যান হন। আচার্যর একজন প্রতিনিধি থাকেন। বাকিরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞ হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই বিভাগ থেকে এই সব বিশেষজ্ঞদের নাম চাওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধিত) আইন ২০১৭ সাল কার্যকরের আগে পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরাই পদাধিকার বলে শিক্ষক নিয়োগ কমিটির চেয়ারম্যান হতেন। কিন্তু আইন সংশোধনের পরে উপাচার্যই নিয়োগ কর্তা বলে তিনি আর কমিটিতে থাকতে পারেন না।

CV Ananda Bose : সংঘাত-বৃত্তে শিক্ষামহলও, ভিডিয়ো-বার্তায় প্রাক্তন ভিসিদের নিশানা বোসের
অন্তর্বর্তী এক উপাচার্য রাজভবনের বিবৃতি দেখে পাল্টা জানতে চান, রাজ্যপাল কি শিক্ষকদের পদোন্নতির বিষয়ে কোনও কমিটি গঠন করেছেন? রাজভবন ঘনিষ্ঠ এক শিক্ষাবিদ অবশ্য জানাচ্ছেন, এ রকম একতরফা ভাবে কোনও টিচার্স সিলেকশন কমিটি গঠনের অধিকার বা ক্ষমতা রাজ্যপাল-আচার্যর নেই। এটা একেবারেই আইন বহির্ভূত কাজ। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের বিধিতেও এ রকম কোনও সুপারিশ নেই। ফলে বিষয়টি একেবারেই আইন সিদ্ধ নয়। এখন এই বার্তা নিয়ে কোনও ধন্দ বা সংশয় হলে, তা নিরসনের দায়িত্ব নিতে হবে রাজভবনকে।

Calcutta High Court : উপাচার্য নিয়োগ: হলফনামা জমার নির্দেশ রাজভবনকে
অবশ্য রাজ্য-রাজ্যপাল দু’পক্ষের কাছের লোকজনই এখন ১৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের শুনানির দিকে তাকিয়ে। তাঁদের আশা, দেশের সর্বোচ্চ আদালতই শেষ পর্যন্ত দিশা দেখাবে। সে ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে দ্রুত সার্চ কমিটি গঠনই সমাধানের একমাত্র রাস্তা। এ ছাড়া বিকল্প কোনও পথ নেই।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *