জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ঝালদা পুরসভায় ফের নাটক। আবারও ধাক্কা কংগ্রেসের। এবার পদত্যাগ করলেন কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু। ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিলেন পূর্ণিমা কান্দু। সম্প্রতি ৪ জন কংগ্রেস কাউন্সিলরও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। যারফলে ঝালদা পুরসভার বোর্ড হাতছাড়া হয়েছে কংগ্রেসের।
গত কয়েকদিন ধরেই ঝালদা পুরসভা নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। কদিন আগেই ঝালদা পুরসভার ৪ জন কংগ্রেস কাউন্সিলর ও একজন নির্দল কাউন্সিলর তথা পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্য়ায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। যারফলে ঝালদা পুরসভার বোর্ড হাতছাড়া হয় কংগ্রেসের। এবার আজ ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিলেন পূর্ণিমা কান্দু। গত ১০ ফেব্রুয়ারি ঝালদা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান তিনি। আজ আচমকা পূর্ণিমা কান্দুর ইস্তফায় জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, হাইকোর্টের নির্দেশেই ঝালদা পুরসভায় কংগ্রেস বোর্ড গঠন করে। সেই বোর্ড গঠনের কয়েক মাস পর থেকেই আবার নতুন করে টানাপোড়েন শুরু হয়। দলত্যাগী কংগ্রেস ও নির্দল কাউন্সিলরদের তৃণমূলে যোগদানের ফলে এখন ঘাসফুল শিবিরের কাউন্সিলরের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০। আর কংগ্রেসের ২। ফলে স্বাভাবিক নিয়মেই বোর্ড হাতছাড়া হয়েছে কংগ্রেসের।
এদিকে এদিন ইস্তফার পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে জি ২৪ ঘণ্টাকে পূর্ণিমা কান্দু বলেন, ভাইপো মিঠুনের দলত্যাগে হতবাক তিনি। আরও বলেন, ‘এখন আর আমাদের বোর্ড নেই। আমরা সংখ্যালঘু। তাই আমি আমার আদর্শের কথা ভেবেই আমার পদ থেকে ইস্তফা দিলাম।’ প্রসঙ্গত, ২০২২-এর ১৩ মার্চ বিকালে খুন হন ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু । ঝালদা-বাঘমুন্ডি রাজ্য সড়কের উপর পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয় তাঁকে। মোট ৩টি গুলি লাগে তপনবাবুর শরীরে। এর মধ্যে একটি গুলি লাগে তাঁর মাথায়। রাঁচির হাসপাতালে মৃত্যু হয় কংগ্রেস কাউন্সিলরের। কাউন্সিলর স্বামী খুনে ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন পূর্ণিমা কান্দু। খুনের পরই সামনে আসে তপন কান্দুর এক ভাইপোর সঙ্গে আইসির ফোনে কথোপকথনের একটি অডিয়ো। যা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। বিতর্কিত ওই অডিয়ো সামনে আসার পর আইসিকে সরিয়েও দেওয়া হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে তপন কান্দু খুনের তদন্তের দায়িত্বভার পায় সিবিআই।