গঙ্গার পাড়ে বেড়াতে আসা এক বাসিন্দা, প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন , ‘আজকে দেখলাম গঙ্গার কাছাকাছি একটি কুমির ভাসছে । ঘাটে অনেকেই স্নান করে। অনেকেই আজ এই ভয়ে গঙ্গায় নামছেন না। ছোটবেলা থেকে গঙ্গায় স্নান করছি, কোনদিনও দেখা যায়নি এই প্রথম দেখলাম। বনদফতরের বিষয়টির উপর নজর দিক এবং প্রাণীটিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা হবে।’
২০২১ সালে ৭ ডিসেম্বর শেওড়াফুলি কালিবাবুর ঘাটে একটি মৃত কুমির উদ্ধার করে বন দফতর। তারপর আর হুগলির গঙ্গায় কুমির দর্শন হয়নি।তবে এদিন জলচর চতুষ্পদ প্রাণীটিকে দেখে আতঙ্ক ছড়ায়। ভয়ে শিবতলা শ্মশান ঘাটে স্নান করতে নামতে চায়নি অনেকে। স্থানীয় পুরসভা প্রশাসন থেকে বন দফতরকে খবর দেওয়া হয় প্রাণীটি কুমির না ঘড়িয়াল তা খতিয়ে দেখার জন্য। ওটি ঘড়িয়াল না কুমির তা এখনও জানা যায়নি।
হুগলির বলাগড়ের চর খয়রামারি এলাকায় এক সময় অনেক ঘ[য়ালের দেখা মিলত।এখন তা বিলুপ্ত প্রায়। শিবতলা শ্মশান ঘাটে স্নান করতে নামতে চায়নি অনেকে।স্থানীয় পুরসভা প্রশাসন থেকে বন দফতরকে খবর দেওয়া হয় প্রাণীটি কুমির না ঘড়িয়াল তা দেখার জন্য। হুগলির বলাগড়ের চর খয়রামারি এলাকায় এক সময় অনেক ঘড়িয়ালের দেখা মিলত।এখন তা বিলুপ্ত প্রায়।
প্রসঙ্গত, সুন্দরবনে মাঝেসাজেই লোকালয়ে ঢুকে পড়ে বিশালাকৃতি কুমির। মাস কয়েক আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথর প্রতিমা এলাকায় ঢুকে পড়ে বিশাল কুমির। পাথর প্রতিমা ব্লকের লক্ষ্মী জনার্দন পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভুলুগিরির ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় সুতি খাল থেকে সকালে হঠাৎ করে একটি কুমিরকে লোকালয়ে দেখতে পাওয়া যায়। এরপরেই গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে সেই কুমিরকে জালবন্দি করে নিয়ে যায় বনদফতর।