কী জানা যাচ্ছে?
হাওড়া স্টেশনে ৫ নং প্ল্যাটফর্মে এদিন হকার ইউনিয়নের সদস্যরা একটি প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করে। হকারদের ট্রেন অবরোধের একটি পরিকল্পনা ছিল বলেও জানা যায় RPF এর তরফে। সেই সময় বাধা প্রধান করে কর্তব্যরত RPF আধিকারিকরা। এই সময়েই দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল অশান্তি বাধে। বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ করতে হয় RPF কে। চূড়ান্ত অশান্তি শুরু হয় প্ল্যাটফর্মে। অসুবিধায় পড়েন নিত্য যাত্রীরা।
হকারদের দাবি
হকারদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই হাওড়া থেকে দূরপাল্লা এবং প্যাসেঞ্জার ট্রেনে তাঁদের হকারি করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। শনিবার এর প্রতিবাদে বঙ্গীয় হকার সম্মেলনের পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। স্টেশনের বাইরে ও ট্রেনে তাঁদের জিনিসপত্র বিক্রি করতে দিতে হবে বলে দাবি করা হয় তাঁদের তরফে। বিষয়টি নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরেই একাধিক স্টেশনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে হকার ইউনিয়ন। দু’দিন আগে কোন্নগর স্টেশনে একটি বিক্ষোভ দেখানো হয়। আজ হাওড়া স্টেশনে প্রতিবাদ কর্মসূচি নেওয়া হয়।
হাওড়া স্টেশনে ধুন্ধুমার
এদিন দুপুরের দিকে হাওড়া স্টেশনের ৫ নং প্ল্যাটফর্মে নিজেদের জিনিসপত্র এবং দলীয় পতাকা নিয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন হকাররা। প্ল্যাটফর্ম থেকে তাঁদের হটিয়ে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করে RPF। এরপরেই শুরু হয় ধস্তাধস্তি। বাধ্য হয়েই লাঠিচার্জ শুরু করে RPF। ঘটনার খবর পেয়ে আসেন TMC সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান। যদিও বিষয়টি নিয়ে রেলের তরফে কিছু জানানো হয়নি।
হকার উচ্ছেদের দাবিতে বিক্ষোভ
এর আগেও বৃহস্পতিবার হকার উচ্ছেদের প্রতিবাদ করা হয় হাওড়া স্টেশনে। গত বৃহস্পতিবার হকার ইউনিয়নের সদস্যরা হাওড়া স্টেশনে জড়ো হয়। বিকেল পাঁচটা থেকে কনকর্সের দখল নিয়ে ডালা পেতে দেয় তাঁরা বলে অভিযোগ। রেলের ভেন্ডিং স্টল বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ করা হয়। বৃহস্পতিবার একপ্রস্থ অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল সাধারণ যাত্রীদের। তবে আগামী দিনে হকার উচ্ছেদ তাঁরা চালিয়ে যাবেন বলে জানানো হয়েছে।