কী জানা যাচ্ছে?
প্রসঙ্গত, গত ৫ সেপ্টেম্বর বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন কেশিয়াকোল এলাকায় শ্যুট আউটের ঘটনা ঘটে। বাইকে চেপে আসা দুই দুষ্কৃতীর গুলিতে পূর্ব বর্ধমানের এক তৃণমূল নেতা সহ তিন জন আহত হন। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে ওই দিন রাতেই শহরের লালবাজার, ভাটিগোড়া থেকে দুষ্কৃতীদের ব্যবহার করা মোটর বাইকটি উদ্ধার করে। পরে কেশিয়াকোল এলাকার ঘটনাস্থল থেকে ঘটনার পর দিনই উদ্ধার হলো কাদামাখা রিভলবার। খবর পেয়েই পুলিশ ওই রিভলবার উদ্ধার করে।
পুলিশ কী জানাল?
জেলা পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারী এদিন জানান, অভিযুক্তের নামে ইতিমধ্যে আসানসোল উত্তর, দক্ষিণ ও হীরাপুর থানা এলাকায় চুরি, ছিনতাইয়ের মতো ১১টি অভিযোগ রয়েছে। এমনকি কেশিয়াকোল গুলি কাণ্ডের ঘটনায় যুক্ত থাকার কথাও সে নিজমুখে স্বীকার করেছে। তবে অধরা অভিযুক্তের খোঁজেও তল্লাশি চলছে বলে তিনি জানান।
বাঁকুড়ায় শ্যুট আউট
গত ৫ সেপ্টেম্বর বাঁকুড়া শহর লাগোয়া কেশিয়াকোলে গুলি চালনার ঘটনা ঘটে। একটি নীল রঙের গাড়ি লক্ষ্য করে ৮ রাউন্ড গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। দু’টি মোটর বাইকে আসা ৪ দুষ্কৃতী গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। গাড়িতে থাকা তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। পুলিশ সূত্রে পরে জানা যায়,
কাটোয়ার ত্রাস নেতা জঙ্গল শেখের ছেলে সাদ্দাম শেখ ছিলেন আততায়ীদের নিশানায়। তাকে লক্ষ্য করেই গুলি চালানো হয়েছিল। সাদ্দাম বন্দি ছিলেন বাঁকুড়া জেলা সংশোধনাগারে। কাটোয়া মহকুমা আদালত থেকে তার জামিন মঞ্জুর হয়। তাকে জেল থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।
নিশানা সাদ্দাম শেখকে?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গাড়িতে সাদ্দাম ছাড়াও INTTUC-র পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক নুর মহম্মদ শাহ সহ জিয়াউল হক, রবিউল শেখ ওরফে রাজু সহ আরো কয়েকজন ছিলেন। সংশোধনাগার থেকেই তাঁদের গাড়িকে ফলো করে দুষ্কৃতীরা। এরপরেই সতীঘাট পেরিয়ে কেশিয়াকোলে এলে গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকি দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।