জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও রোগীর কাছে টাকা চাওয়া এবং স্বাস্থ্য সাথীর অনুমোদন না আসায় রোগীকে আটকে রাখার অভিযোগ। তারপর রোগীর মৃত্যু হতেই উত্তেজনা বাঁকুড়ার নার্সিংহোমে। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থাকার পরও রোগীর কাছে চিকিৎসার জন্য টাকা চাওয়া হয়। স্বাস্থ্য সাথীর অ্যাপ্রুভাল না মেলায় রোগীকে অন্যত্র চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতেও দেয়নি বলে অভিযোগ। এরপরই উত্তাল হল বাঁকুড়ার একটি বেসরকারী নার্সিংহোম।
আরও পড়ুন, Beldanga Blast: বোমায় সেনা গ্রেনেডের সরঞ্জাম! বেলেডাঙা বিস্ফোরণ তদন্তে এবার UAPA ধারা যোগ
শনিবার সকালে চিকিৎসারত অবস্থায় ওই রোগীর মৃত্যু হতেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। নার্সিংহোমে হালকা ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের পুনিশোলের বাসিন্দা বছর ৬২-র পার্শ্বলা মন্ডল পায়ে অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে গত ১০ সেপ্টেম্বর বাঁকুড়ার একটি বেসরকারী নার্সিংহোমে ভর্তি হন। রোগীর পরিবারের দাবি, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে ভর্তি নিলেও ভর্তির পর থেকেই রোগীর পরিজনদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা চাইতে থাকে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার রোগীর শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে রোগীর পরিজনেরা রোগীকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেয়। রোগীর পরিজনদের দাবি, স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের অনুমোদন না আসায় রোগীকে নার্সিংহোম থেকে ছাড়তে চায়নি কর্তৃপক্ষ। তারপরই শনিবার সকালে ওই নার্সিংহোমে চিকিৎসারত অবস্থায় রোগীর মৃত্যু হয়। রোগীর পরিজনেরা সামান্য ভাংচুরও চালায় নার্সিংহোমে।
খবর পেয়ে নার্সিংহোমে যায় বাঁকুড়া সদর থানার পুলিস। যদিও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ রোগীর পরিজনদের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে। নার্সিংহোমের দাবি, ওই রোগীর ক্ষেত্রে কোনও টাকা দাবি করা হয়নি। রোগী আটকে রাখার অভিযোগও অস্বীকার করেছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। নার্সিংহোমের পাল্টা দাবি, রোগীর শারীরিক অবস্থার কথা চিন্তা করে নাসিংহোমই রোগীকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল কিন্তু রোগীর পরিজনেরা তা করেননি।
আরও পড়ুন, Train Cancel: হাওড়া শাখায় একগুচ্ছ ট্রেন বাতিল, সপ্তাহান্তে যাত্রীদের ভোগান্তির আশঙ্কা