KMC Book Donation Drive : নাগরিকের বইদানের আবেদন! শিশুদের জন্য অভিনব পরিকল্পনা কলকাতা পুরসভার – kolkata municipal corporation urged citizens to donate book to from library for school students


অভিনব দাবি নিয়ে শহরবাসীর দ্বারস্থ কলকাতা পুরসভা। তাদের তরফে শহরের নাগরিকদের কাছে শিশুদের বই দানের আবেদন জানানো হয়েছে। কলকাতা পুরসভার পুর এলাকার ২২৪টি স্কুল পরিচালনা করে। পুরসভার ওয়েবসাইটে স্কুলগুলির তালিকা রয়েছে। পুরসভার তরফে জানা গিয়েছে, ১০ অক্টোবর অবধি শিশুদের গল্পের বই, প্রাইমার, উপকথা এবং অন্যান্য বইগুলি দান করা যাবে। এই বইগুলি দিয়ে পুরসভার আওতায় থাকা স্কুলগুলিতে লাইব্রেরি গড়ে তোলা হবে।

কলকাতা পুরসভার ফেসবুক পোস্টে একটি QR code দেওয়া হয়েছে। সেই কোড স্ক্যান করে পুরসভার অধীনে থাকা স্কুলগুলির তালিকা দেখা যাবে। কলকাতা পুরসভা শিক্ষা বিভাগের মেয়র পারিষদ সদস্য সন্দীপন সাহা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘যে কোনও স্কুলে গিয়ে বই দান করা যেতে পারে। নাগরিকরা বাড়ির নিকটবর্তী যে কোনও স্কুলে গিয়ে বই দান করতে পারেন। সেই কারণে এই পদ্ধতি বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে।’

Calcutta Municipality : পুজোয় জমা জলে বিঘ্ন এড়াতে তৎপর পুরসভা
পুরসভা সূত্রে খবর, কলকাতা শহরে ২২৪টি স্কুল KMC-র অধীনে রয়েছে। সেই স্কুলে নার্সারি থেকে পঞ্চম শ্রেণি অবধি পড়ুয়াদের পড়ানো হয়। সব মিলিয়ে পুরসভার স্কুলগুলিতে ১৫ হাজার ছাত্রছাত্রী রয়েছে। পুরসভার সব স্কুলের নিজস্ব ভবন নেই। একটি ভবনে আলাদা শিফটে দুটি স্কুল চলে।

KMC Property Tax : কলকাতায় বাড়তে পারে সম্পত্তিকর, বড় সিদ্ধান্তের পথে পুরসভা
মেয়র পারিষদ বলেন, ‘পুরসভার অধীনে থাকা স্কুলগুলির পডুয়াদের অধিকাংশ নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দুঃস্থ পরিবার থেকে পড়তে আসে। এমন পরিবারে গল্পের বই পড়ার অভ্যাস প্রায় নেই বললেই চলে। গল্পের বই পড়ার অভ্যেস থাকলেও এই সব ছাত্রছাত্রীদের পরিবারের তা কিনে দেওয়ার সামর্থ থাকে না। আমার দেখেছি, পাঠ্য পুস্তকের বাইরে আমাদের স্কুলের পড়ুয়াদের গল্পের বই পড়ার অভ্যেস নেই। তাদের মধ্যে এই অভ্যেস হয়তো গড়ে ওঠেনি। এই ধরনের বই সংগ্রহ করে রাখলে পড়ুয়াদের মধ্যে সেই অভ্যেস গড়ে উঠতে পারে।’

Maa Canteen Kolkata : পৌনে দু’কোটিকে দু’মুঠো দিয়েছে ‘মা’, প্রশাসনের হিসেবে প্রশ্ন বিজেপির
একটি ইংরেজি দৈনিকের সঙ্গে কথা বলার সময় সন্দীপন বলেন, ‘তুলনামূলকভাবে উন্নত পরিবারে শিশুরা বড় হওয়ার পর তাদের জন্য কেনা অনেক বই ফেলে দেওয়া হয়। আমরা শহরের নাগরিকদের এই বইগুলি বিক্রি বা ফেলে না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। তার বদলে তাঁরা যদি আমাদেপ বইগুলি দান করেন, তবে শিশুরা পড়তে পারে।’

পুরসভার তরফে দাবি করা হয়েছে, কলকাতা পুরসভার ১৫টি স্কুলে পুরনো লাইব্রেরি রয়েছে। দুটি লাইব্রেরিতে অত্যাধুনিক বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ১৫ হাজার শিক্ষকের পাশাপাশি স্কুলগুলিতে ৮৫০ জন শিক্ষকও রয়েছেন। তবে শিক্ষকের সংখ্যা পর্যাপ্ত ছিল কি না জানতে চাওয়া হলে সন্দীপন জানান, শিক্ষকের সংখ্যার পাশাপাশি বেশ কিছু স্কুলে পড়়ুয়াদের সংখ্যাও কম।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *