কী জানা গেল?
ডেঙ্গু আক্রান্তের মৃত্যু হল দক্ষিণ দমদমে। দমদম এলাকা থেকে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হল ৬। দমদম পুরসভার ২৭নং ওয়ার্ডের শ্যামনগর অঞ্চলে মৃত্যু হল এক বয়স্ক ভদ্র মহিলার। রুনা বসাক নামে ৫৩ বছর বয়সি ওই মহিলা চলতি মাসের ১৪ তারিখ নাগেরবাজার সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যু শংসাপত্রে ডেঙ্গুর উল্লেখ্য করা হয়েছে।
পরিবার সূত্রে কী খবর?
মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, বেশ কয়েকদিন ধরে রুনা দেবী জ্বরে আক্রান্ত ছিল। এরপরে রক্তের নমুনা পরীক্ষা করালে এনএসওয়ান পজিটিভ এলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তারপরে গত ২১ তারিখ তাঁর মৃত্যু হয়। এই নিয়ে দক্ষিণ দমদমে ডেঙ্গু মৃত্যুর সংখ্যা ৬ দাঁড়াল। গত বুধবারই শ্যামনগর অঞ্চলে বছর ১৪ এক কিশোরী ডেঙ্গুতে মারা যায়। এরপর ফের একবার ডেঙ্গু আক্রান্তের মৃত্যু হল শ্যামনগর অঞ্চলে।
ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত রাজ্য জুড়ে
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন রাজ্যে ২৫০ থেকে ৩০০ জন নতুন ডেঙ্গি আক্রান্ত হচ্ছে। ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছড়িয়ে পড়েছে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই। শহরাঞ্চলের পাশাপাশি ডেঙ্গি থাবা বসিয়েছে গ্রামাঞ্চলেও। জেলায় জেলায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পাঠানো হচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে। উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ এই তিনটে জেলা নিয়ে চিন্তার কারণ সবথেকে বেশি। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, গত এক সপ্তাহে রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৭,৭৬০ জন।
ডেঙ্গি নিয়ে শুরু রাজনৈতিক বিতন্ডা
দুদিন আগেই ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত জন্য বিগত বাম আমলকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পালটা, প্রাক্তন মেয়র সিপিএম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, বিগত বারো বছর দায়িত্বে রয়েছে তৃণমূল সরকার। এই মন্তব্য থেকে প্রমাণিত হয় রাজ্য সরকার এই কয়েক বছরে কোনও কাজ করেনি। ডেঙ্গি নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপিও। পুজোর আগে ডেঙ্গি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যেও আতঙ্কের শেষ নেই।