Eco Tourism In West Bengal : শহর লাগোয়া ভাগীরথীর চরে ইকো ট্যুরিজম, কালনার পর্যটনের মুকুটে নতুন পালক – biodiversity tourism can be developed in kalna west begal


এই সময়, কালনা: কালনা শহর লাগোয়া ভাগীরথীর চরে ইকো ট্যুরিজম গড়ে তোলা নিয়ে পরিদর্শনে এসেছিলেন রাজ্য বায়োডাইভার্সিটি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিমাদ্রি শেখর দেবনাথ। যদিও এই এলাকাকে বায়োডাইভার্সিটি ট্যুরিজম হিসেবে গড়ে তোলার পক্ষেই মত দিয়েছেন তিনি। সেক্ষেত্রে এই ভাবনা বাস্তবায়িত হলে এটিই হবে রাজ্যে প্রথম বায়োডাইভার্সিটি ট্যুরিজম পার্ক।

কালনা মহকুমা ইতিহাস ও পুরাতত্ত্ব চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি সিদ্ধেশ্বর আচার্য বলেন, ‘খুবই ভালো উদ্যোগ। বায়োডাইভার্সিটি ট্যুরিজম পার্ক গড়ে উঠলে তা হবে কালনার পর্যটনের মুকুটে নতুন পালক। সমৃদ্ধ হবে কালনার পর্যটন। পর্যটকও বাড়বে।’ কালনা শহর লাগোয়া ভাগীরথীতে রয়েছে চারটি চর। সেখানে ইকো-ট্যুরিজম গড়ে তোলা নিয়ে সম্প্রতি পরিদর্শনে এসেছিলেন বায়োডাইভার্সিটি বোর্ডের চেয়ারম্যান।

Darjeeling Trek Route : পুজোর আগে পাহাড়প্রেমী পর্যটকদের জন্য সুখবর, এবার দার্জিলিঙেও ট্রেকিংয়ের সুযোগ
তাঁর সঙ্গে ছিলেন কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান আনন্দ দত্ত, ভাইস চেয়ারম্যান তপন পোড়েল। ওই দিন ভাগীরথীতে লঞ্চে চড়ে চরগুলি ঘুরেও দেখেন তিনি। পরিদর্শনের পর বায়োডাইভার্সিটি বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, ‘জৈব বৈচিত্রের দিক থেকে এই জায়গার প্রভূত সম্ভাবনা রয়েছে। বহু জেলাই বায়োডাইভার্সিটি পার্ক, ওয়াইল্ড জোন করতে চায় কিন্তু, জায়গার অভাবে তা হচ্ছে না। এখানে যে চর রয়েছে তা ব্যবহার করা দরকার।’

Food Court In Kolkata : শহরে ফুড চেন হাব গড়বে রাজ্য?
তিনি জানান, পার্কের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকার প্রথমে কিছু টাকা দেবে। সেই কাজে স্থানীয় মানুষদের যুক্ত করে জীবিকার ব্যবস্থা করতে হবে। বলেন, ‘ইকো-ট্যুরিজম বলে একটি কথা চালু রয়েছে। কিন্তু বায়োডাইভার্সিটি ট্যুরিজম কেন নয়? আজ পর্যন্ত বায়োডাইভার্সিটি ট্যুরিজম কোথাও হয়নি।’ তিনি জানান, শহরে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে একটি চর লেগে রয়েছে।

আশপাশের চরগুলিতেও অ্যাক্টিভিটি রাখতে হবে। বিদেশিরা নদীর ধার পছন্দ করেন। সেখানে হোম-স্টের ব্যবস্থা করতে হবে। একটি চর থেকে আর একটি চরে যাওয়ার জন্য পরিবহণের ব্যবস্থা করতে হবে। সেখানে স্থানীয় খাবারের স্টল থাকবে। বায়োডাইভার্সিটি বোর্ডের চেয়ারম্যান জানান, এক একটি চরে তপোবন, পঞ্চবটি নাম দিয়ে বন গড়ে তোলা যেতে পারে। তৈরি করা যেতে পারে ফলের বাগানও। তবে কোনও একটি দপ্তরের পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়।

Digha Beach News: সিঙ্গাপুরের মজা দিঘাতেও! এবার তৈরি হচ্ছে ‘আন্ডার ওয়াটার পার্ক’, কী থাকবে সেখানে?
সেচ, বনের মতো দফতরগুলিকেও এর সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। তিনি বলেন, ‘পুরসভার চেয়ারম্যান আনন্দ দত্ত বিষয়টি নিয়ে খুব উৎসাহী। আশা করছি, শীঘ্রই কিছু একটা সিদ্ধান্ত হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *