Hooghly News: টোটোর সঙ্গে স্কুটি ধাক্কায় আঙুল বাদ গৃহবধূর, নেপথ্যে রাস্তার গর্ত? – hooghly house wife lost his finger in accident due to accident


রাস্তার গর্তের কারণে কত বড় বিপদ যে হতে পারে। তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে গেল চুঁচুড়ার গৃহবধূর ঘটনা। রাস্তার গর্ত বাঁচাতে গিয়ে টোটোর ধাক্কায় বাদ গেল তাঁর আঙুল। রাস্তা নিয়ে বহুদিন প্রশাসনকে অভিযোগ করা হলেও কোনও কথাতেই কাজ হয়নি। তার পরিণতিতে বড় দুর্ঘটনার শিকার হলেন গৃহবধূ।

Trending News In West Bengal: ‘এভাবেও ফিরে আসা যায়…’, সংসারের হাল ধরতে টোটো নিয়েই পথে নামলেন বারাসতের কাজল

টোটোর সঙ্গে ধাক্কায় আঙুল বাদ গেলো চুঁচুড়ার গৃহবধুর। চুঁচুড়া পুরসভার নয় নম্বর ওয়ার্ডে মহেশতলায় শ্বশুর বাড়ি গৃহবধূ দীপিকা দাসের । চুঁচুড়া রথতলায় তার বাপের বাড়ি। বাবা একা থাকেন। দু’বেলা স্কুটি চালিয়ে নিজেই বাবার খাবার পৌঁছে দিয়ে আসেন।ছেলেকেও স্কুলে পড়তে নিয়ে যান। মঙ্গলবার রাতে রথতলায় নাটকের রিহার্সাল দিতে যাওয়ার সময় একটি টোটোর সঙ্গে ধাক্কা লাগে তার স্কুটির। গুরুতর জখম হন তিনি। সাংঘাতিক আঘাত লাগে তাঁর হাতে। চুঁচুড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডান হাতের কড়ে আঙুল কেটে বাদ দিতে হয়।

Bhangar News : রাস্তায় মরণফাঁদ! ‘উন্নয়ন কোথায়?’ ভাঙড়ের বাগজোলা খাল রোড নিয়ে সরব নওশাদ
জানা গিয়েছে, রাস্তা খারাপ থাকায় টোটো গর্ত বাঁচাতে ডানদিকে চলে আসে। উলটো দিক থেকে স্কুটিতে আসছিলেন দীপিকা। ট্রাফিকের নিয়ম মেনে রাস্তার বাঁদিক দিয়ে গেলেও ভাঙা রাস্তার কারণে গর্ত বাঁচাতে টোটোটি তাঁর দিকে চলে আসে। টোটো এসে সোজা তাঁকে ডানদিকে ধাক্কা মারে। ধাক্কা লেগে ওই গৃহবধূর আঙুল কেটে ঝুলতে থাকে। স্থানীয়রা এসে তাকে ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু, তার আঙুলের এতটাই খারাপ অবস্থা ছিল যে চিকিৎসকরা আঙুল কেটে বাদ দিতে বাধ্য হন।

Hooghly News : বধূকে খুন করে ‘লোপাট’ দেহ, মায়ের পরিণতি দেখে কান্না একরত্তির! পাণ্ডুয়াতে চাঞ্চল্যকর ঘটনা
আঙুল হারিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন দীপিকা। তিনি বলেন, ‘আমি নিজের দিক দিয়েই যাচ্ছিলাম হঠাৎ টোটো আমার দিকে এসে গেল। ধাক্কা লাগতেই আঙুলে চোট লাগে বুঝতে পারি কিন্তু, আঙুলের অবস্থা এতটা খারাপ বুঝতে পারিনি। এর আগেও একবার ছেলেকে নিয়ে যাচ্ছিলাম টোটোর ধাক্কায় ছিটকে পড়েছিলাম।’

Raiganj Medical College: স্কলারশিপের নাম করে তোলাবাজি, ডাক্তারি পড়ুয়াকে মারধরের অভিযোগ
বধূর স্বামী সুদীপ দাস বলেন, ‘ এভাবে চললে মানুষের পথে বেরনো বন্ধ হয়ে যাবে। রাস্তার বেহাল দশা, সঙ্গে টোটোর দাপাদাপি।অতিরিক্ত সংখ্যায় টোটো আর যারা চালাচ্ছে কোনও আইন মানছে না।দুর্ঘটনা মাঝে মধ্যে হচ্ছে।এখনই প্রশাসনের বিষয়টা নজর দেওয়া উচিত। আজ এই ঘটনা আমার পরিবারের সঙ্গে হয়েছে কাল যে কোনও লোকের সঙ্গে হতে পারে। ঘটনায় যদিও কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি দীপিকা দাস বা তার স্বামী।প্রসঙ্গত,হুগলি চুঁচুড়া শহরে আমরুত প্রকল্পের কাজ চলায় রাস্তা ঘাটের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে আছে।বর্ষাতেও অনেক জায়গায় রাস্তা খারাপ হয়ে আছে।তার মধ্যে লাগামহীন হাজার হাজার টোটো।

ভিডিয়ো থেকে প্রতি মুহূর্তের ব্রেকিং নিউজ, ফলো করুন এই সময় ডিজিটাল চ্যানেল। ক্লিক করুন: https://bit.ly/eisamay-whatsapp-channel



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *