এত বড় ও বেশি ওজনের মাছ দিঘায় প্রথম না হলেও সাধারণ ঘটনা নয়। তাই এদিন দানবাকৃতি মাছের ধরা পড়ার খবরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। ১১০ কেজি ওজনের কই ভোলা মাছ দেখতে সমুদ্রের পাড়ে ভিড় জমান পর্যটকেরা। সচারাচর এই মাছ দেখতে পাওয়া যায় না। অত্যন্ত গভীর সমুদ্রের মাছ। তাই মাছটিকে দেখতে ভিড় জমিয়েছেন বহু মানুষ। অনুমান, পারাদ্বীপ থেকে এসেছে মাছটি।
দিঘা মোহনা মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে মাছটি পৌঁছতেই হুলস্থূল পড়ে যায়। পর্যটকেরা কেউ কেউ সেলফিও তোলেন দানব মাছের সঙ্গে। নিলাম শুরু হতেই ভিড় জমায় অন্যান্য মৎস্যজীবীরাও। এক মাছেই লক্ষ্মী লাভের টিকিট এই কই ভোলা। এদিন নিলামে হাজার হাজার টাকা দাম উঠে যায়। BCC আড়তে তোলা হয়েছে মাছটিকে। শেষ পর্যন্ত ২৫,০০০ টাকা দাম উঠলে সেই মূল্যেই রফতানি করা হয় বিদেশে।
এই প্রথম নয়, বেশ অনেক আগে এরকমই বিশালাকার কই ভোলা উঠেছিল দিঘায়। সেবার মাছটির ওজন ছিল ১৭৫ কেজি। গভীর সমুদ্রের এই মাছ সহজে মৎস্যজীবীদের জালে আসেনি। এছাড়া দানবাকৃতি কই ভেটকিও মাঝে মাঝে দিঘা মোহনায় মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ে। ২০০ কেজি ওজনের বিশালাকার সামুদ্রিক কই ভেটকি নিয়ে মাসখানেক আগেই শোরগোল পড়ে যায়। প্রায় ৪০ হাজার টাকায় নিলাম হয় সেই মাছটি।
উল্লেখ্য, মাঝেমধ্যেই দিঘায় মৎস্যজীবীদের জালে বিশাল আকৃতি ও ওজনের মাছ ধরা পড়ে কখনও বিপুল আকৃতির শংকর মাছ, কখনও তেলিয়া ভোলা। এমন দানবাকৃতির মাছ মানেই মৎস্যজীবীর জন্য লটারির টিকিট। হাজার হাজার টাকায় নিলাম হয় এমন সব বিরল দানবাকৃতি মাছ। চলতি বছরের শুরুতেই দিঘায় মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ে বিরল প্রজাতির অন্য এক সামুদ্রিক মাছ। স্থানীয়রা জানিয়েছিলেন, ওই মাছটির নাম ছিল ‘চিরুনি ফাল’। ওই বিরল প্রজাতির মাছ চিরুনি ফালের দেহাংশ থেকে জীবনদায়ী ওষুধ তৈরি হয় বলে জানা গিয়েছে।
প্রতি মুহূর্তের রাজ্য রাজনীতি থেকে জাতীয় রাজনীতির যে কোনও ধরনের আপডেটের জন্য ফলো করুন এই সময়ের হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেল। ক্লিক করুন- https://bit.ly/eisamay-whatsapp-channel