Biswa Bangla Gate : বিশ্ব বাংলা গেটের পর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী শহরে এবার ‘গেটওয়ে অব বেঙ্গল’, হবে কর্মসংস্থানও – bongaon municipality will make gateway of bengal at bongaon city


কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউনে বিশ্ববাংলা গেট করেছে রাজ্য সরকার। রেস্তোরাঁ-সহ বিনোদনের দারুণ ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে। এবার আরও একধাপ এগনোর পরিকল্পনা। সীমান্তবর্তী শহরে এবার ‘গেটওয়ে অব বেঙ্গল’ তৈরির ভাবনা। উদ্যোগ পুরসভার।

এবার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী শহর বনগাঁয় বিশ্ববাংলা গেটের মতো ‘গেটওয়ে অব বেঙ্গল’ তৈরির পরিকল্পনা পুর কর্তৃপক্ষের। এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী এই বিষয়ে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বনগাঁ-চাকদা রোডের উপর পূর্ত দফতরের জায়গায় তৈরি হবে এই গেটওয়ে অব বেঙ্গল। এর উচ্চতা হবে ৫৫ ফুট, চওড়া হবে ৪০ ফুট। রেস্তরাঁয় ওঠার জন্য দু’টি লিফট থাকবে। রেস্তোরাঁয় দেশি ও বিদেশি সুস্বাদু বিভিন্ন ধরণের খাবারও পাবেন পর্যটকরা। এছাড়া থাকছে পর্যটকদের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা। বনগাঁ শহরের এই গেটওয়ে অব বেঙ্গলে একসঙ্গে ৫০ জনের বসে খাওয়ার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।

SBSTC Digha Bus Timetable : বোলপুর-দিঘা জুড়ে গেল সরকারি বাসে, কখন ছাড়বে-ভাড়া কত?
গেটওয়ে অব বেঙ্গলে রেস্তোরাঁ-সহ যাবতীয় বিনোদন ব্যবস্থার পরিচালনার দায়িত্বে থাকছে বনগাঁ পুরসভা। রেস্তোরাঁয় রান্নার কাজে মূলত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের নিয়োগ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়া যেহেতু বিদেশি খাবারও সেখানে পাওয়া যাবে, তাই ওই ধরণের খাবর তৈরিতে যাঁরা পারদর্শী তাঁদের কর্মসংস্থানও হবে ওই রেস্তোরাঁয়া। আর এই কর্মসংস্থানের সুযোগ দেবে বনগাঁ পুরসভা।

Bongaon Digha SBSTC Bus: বনগাঁ থেকে দিঘা পৌঁছন এবার আরও সহজে , জানুন সরকারি বাসের সময়-ভাড়া
এই বনগাঁতেই রয়েছে ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্ত, রয়েছে পেট্রাপোল স্থলবন্দরও। বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পারাপারের পর বনগাঁ শহরের উপর দিয়েই সেই দেশের বাসিন্দারা কলকাতামুখী হন। তাই বাংলাদেশী তথা বিদেশীদের কাছে বনগাঁ শহরকে আরও আকর্ষণীয় করতেই পুরসভার এই উদ্যোগ বলে জানা যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ সংবাদমাধ্যমকে জানান, এর ফলে পুরসভার একদিকে যেমন আয় বাড়বে, অন্যদিকে কর্মসংস্থানও হবে। গেটওয়ে অব বেঙ্গলের মাধ্যমে বনগাঁর মানুষকে আলাদা বার্তা দিতে চান তাঁরা।

SBSTC Digha Bus : পুজোর ভিড় সামলাতে দিঘায় বাড়তি সরকারি বাস, ফিরতে পারে মিনিও
ইতিমধ্যেই এই কাজের নকশাও তৈরি হয়ে গিয়েছে বলে জানান পুরসভার পুরপ্রধান। প্রাথমিতভাবে রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের পক্ষ থেকে সম্মতিও পাওয়া গিয়েছে। সেক্ষেত্রে খুব দ্রুতই এই বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী পুরপ্রধান। আর সবুজ সঙ্কেত পেতেই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বলে জানান গোপাল শেঠ। সেক্ষেত্রে আগামীদিনে বনগাঁবাসী যে নতুন এক উপহার পেতে চলেছেন, তা বলাই যায়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *