সে কারণে কয়েক মাস আগে ২০০টি বৈদ্যুতিন চার চাকা গাড়ি কেনার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল নবান্নে। অবশেষে ইভি গাড়ি কেনার সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে নবান্ন। গাড়ি কেনার জন্য ৪০ কোটিরও বেশি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। প্রাথমিক ভাবে বায়ুদূষণের কথা মাথায় থাকলেও, বেশি সংখ্যায় ইভি গাড়ি চলানো গেলে, প্রতি মাসে বিপুল টাকার পেট্রল-ডিজ়েল কেনার ঝক্কি থেকেও মুক্তি মিলবে বলেও মনে করছে লালবাজার।
পুলিশ সূত্রের খবর, গাড়ি কেনার জন্য ইতিমধ্যেই টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে কথা বলে পুলিশকর্তারাও জানার চেষ্টা করছেন, কোন ধরনের ইভি গাড়ির কিনলে বাহিনীর সুবিধা হতে পারে। এই মুহূর্তে লালবাজারের হাতে রয়েছে ২০টি ইভি। তার জন্য লালবাজারের ভিতরে রয়েছে চার্জিং পয়েন্টও। সেই গাড়িগুলি বর্ষার মরশুমে চালিয়ে দেখা গিয়েছে, পুলিশের কাজকর্মে কোনও বাধা হয়নি।
১৫ অ্যাম্পিয়ার চার্জিং প্ল্যাগে দ্রুত চার্জও করা যায়। মাত্র ৩০ ইউনিট চার্জে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা খরচেই সারা দিন ছুটবে গাড়িগুলি। অন্যদিকে পেট্রল এবং ডিজ়েলের গাড়ি সারা দিন চললে খরচ হচ্ছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। পুলিশের একটি ইভি এলে প্রতিদিন জ্বালানি খরচ বাঁচতে পারে ১ থেকে দেড় লক্ষ টাকার।
গাড়িগুলি হাতে আসার পর তা বিভিন্ন বিভাগকে বণ্টন করা হবে। ট্র্যাফিক বিভাগেরও হাতে আসবে গাড়িগুলি। প্রথমে নিচুতলার পুলিশকর্মী থেকে সহকারী পুলিশ কমিশারের পদে থাকা কর্মচারীদের কাজের জন্য ইভি দেওয়া হবে। কলকাতা পুলিশের সব বিভাগ মিলিয়ে প্রায় চার হাজার গাড়ি রয়েছে। সবই পেট্রল এবং ডিজ়েলের। ধাপে ধাপে সেই গাড়িগুলিকে বয়স অনুযায়ী স্ক্র্যাপ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।