Suvendu Adhikari,‘ওটা তো ঠগ বন্ধন!’ অখিলেশ সুর পাল্টাতে ইন্ডিয়া জোটকে কটাক্ষ শুভেন্দুর – suvendu adhikari criticises india coalition for upcoming lok sabha election 2024


উৎসব মরশুমের পরেই একাধিক রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তারপরেই বেজে যাবে লোকসভা নির্বাচনের দামামা। বিজেপিকে জোর টক্কর দিতে প্রস্তুতি শুরু করেছে ইন্ডিয়া জোট। যদিও, লোকসভার আগেই মধ্যপ্রদেশের নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যেই কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টির মতানৈক্য তৈরি হয়েছে। ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদব। ইন্ডিয়া জোটের এহেন পরিস্থিতিতে এবার জোর কটাক্ষ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।

কী জানালেন শুভেন্দু?

বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশে আসন বণ্টন নিয়ে কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টির মধ্যে মতানৈক্য তৈরি হয়েছে। অখিলেশকে বলতে শোনা যায়, ‘আগে জানলে যেতামই না।’ এমনকি ইন্ডিয়া জোটে থাকা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে শুভেন্দু বলেন, ‘এটা কোন জোট নয়। ঠগ বন্ধন। ঠগরা এক জায়গায় এলে বুঝতে পারেনা। অলরেডি সিপিএম আউট। কেজরিওয়াল বোল্ড হয়ে গিয়েছে।’

পুজো উদ্বোধনে শুভেন্দু

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হলদিয়ার চৈতন্যপুরে দুর্গা পুজো উদ্বোধন করতে আসেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমনই মন্তব্য করেন তিনি। স্বভাবসিদ্ধভাবে, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধেও সমালোচনা সরব হন তিনি।

অভিষেককে জবাব বিজেপি বিধায়কের

বিগত কয়েকদিন নিজের লোকসভা কেন্দ্রে একের পর এক বস্ত্র বিতরণী ও পুজোর অনুষ্ঠানে হাজির থাকছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনা নিয়ে সর্বত্রই সরব হচ্ছেন তিনি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, সিবিআই- ইডি যত তদন্ত করবে আন্দোলন ততই বাড়বে বলে জানান তিনি।
সেই প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘কে সে? আগে ভাইপো যোগ করুন। ভাইপো যোগ না করলে তাহলে সে তো হরিদাস পাল।’ তাঁর কথায়, ২০১১ সালের আগে কথায় ছিল? এই হলদিয়ার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী করেছিলাম। তখন ও কোথায় ছিল দিল্লিতে ছিল।

Suvendu Adhikari : ‘…এক্তিয়ার নেই!’ শুভেন্দুর সমবায় দুর্নীতির মামলা খারিজ করল হাইকোর্ট
উল্লেখ্য, গত কয়েকমাস ধরে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বকেয়া পাওনা নিয়ে সোজাসুজি আন্দোলনে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় সরকারকে বকেয়া মেটানোর জন্য একটি সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়েছে। আগামী ছয়মাস পর্যন্ত একশো দিনের টাকা মেটানোর ব্যাপারে। এমনকি, পুজোর পর নভেম্বর মাসের শুরু থেকেই বিষয়টি নিয়ে আরও জোরদার আন্দোলন শুরু হবে বলেও ঘোষণা করেছেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও, তৃণমূলের আন্দোলনকে গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। তৃণমূলের বিরুদ্ধে একশো দিনের কাজ ও অন্যান্য গ্রামীণ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাঁরাও আন্দোলনে নামবেন বলে জানান শুভেন্দু।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *