একের পর এক চমকপ্রদ থিম করে কয়েক বছরের মধ্যে শহরের সেরা পুজোগুলির মধ্যে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে টালা প্রত্যয়। এবারের পুজোর থিম ছিল ‘কহন’। গোটা মণ্ডপ জুড়ে ছিল আলো-আঁধারির খেলা, যা দেখে চোখ ধাঁধিয়ে গিয়েছে দর্শকদের। সেই পুজোকে অন্যতম সেরা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু তারপরও কমিটির সিদ্ধান্তের কারণ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এ প্রসঙ্গে টালা প্রত্যের সম্পাদক শান্তনু ঘোষ এই সময় ডিজিটালকে বলেন, ‘আমরা সসম্মানেই পুরস্কার ফিরিয়ে দিচ্ছি। কলকাতার সব দুর্গাপুজো আনন্দের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। লড়াইটা লড়াইয়ের জায়গায় থাকলেও সবার মধ্যে খুবই ভালো সম্পর্ক। কিন্তু এই পুরস্কারের জন্য কোথাও আবেদন করতে হয়নি, বিচারকরা আসেননি। পুরস্কার গ্রহণ করলে আমাদের দুর্গাপুজোর সকল কমিটির সম্পর্কের বিশ্বাসে একটা চিড় ধরতে পারে। অনেকের মনে হাতে পারে কী কারণে টালা প্রত্যয় এই সম্মান পেল! একটা তো নিয়ম থাকার দরকার। আগামী বছর যদি পদ্ধতি মেনে এটা হয়। তবে আমরা নিশ্চয়ই গ্রহণ করব।’
এর আগেই রাজ্যপালের পুরস্কার ফিরিয়েছে কল্যাণীর লুমিনাস ক্লাব। এই ক্লাবের পুজো দেখার জন্য প্রচুর মানুষ এবার ভিড় জমিয়েছিলেন। রাজ্যপালের দুর্গারত্ন পুরস্কার প্রত্যাখান করায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। রাজ্যের ৪টি পুজো কমিটিকে পুরস্কৃত করার কথা ঘোষণা করেন রাজ্যপাল। তারমধ্যে দুটি কমিটি সেই পুরস্কার ফিরে দিল।
‘দুর্গারত্ন’ পুরস্কারের মনোনীত কোন কোন পুজো?
এবার দুর্গাপুজোর সময় শহর ও জেলার বিভিন্ন পুজো মণ্ডপ ঘুরে দেখেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেই তালিকা
১) আলো ও সৃজনশীলতা : টালা পার্ক প্রত্যয়
২) কল্যাণী লুমিনাস ক্লাব : দৃশ্য নান্দনিকতায় সেরা
৩) বন্ধুদল স্পোর্টিং ক্লাব : পরিবেশ সচেতনতা
৪) নেতাজি কলোনি লোল্যান্ড : অভিনব থিম