বাসিন্দাদের ক্ষোভ প্রশমনে উদ্যোগী পুরসভা। বিধাননগর পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর পর চলতি সপ্তাহ থেকে নিয়মিতভাবে অফিস চালু হওয়ার পরই তারা রাস্তা মেরামতির কাজে ঝাঁপিয়ে পড়বে। গোটা সল্টলেক এলাকার বেহাল রাস্তা মেরামতের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিধাননগর পুরসভা কর্তৃপক্ষ।
বিধাননগর পুরসভার এক আধিকারিক এ প্রসঙ্গে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘পুজোর আগে সব থেকে খারাপ রাস্তাগুলিতে প্যাচওয়ার্কে কাজ করা হয়েছে। পুজোর ছুটির পর সোমবার থেকে অফিস শুরু হলে পুরোদমে রাস্তা মেরামতির উদ্যোগ নেওয়া হবে।’ পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, করুণাময়ী, ১৩ নম্বর ট্যাঙ্কসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় পুজোর আগে তড়িঘড়ি প্যাচওয়ার্কের কাজ করা হয়। এমনকী পুজোর দর্শনার্থীদের কথা মাথা রেখে মহাসপ্তমীর দিনও বেশ কয়েকটি রাস্তা মেরামতি করতে দেখা গিয়েছে পুরকর্মীদের।
দীর্ঘদিন ধরে সল্টলেকের রাস্তার হাল বেহাল। বিগত কয়েক বছরে পুরোদমে হয়নি রাস্তা মেরামতির কাজও। সেই কারণে সল্টলেকের অধিকাংশ রাস্তা খানাখন্দে ভরে গিয়েছে। সল্টলেকের বাসিন্দাদের দাবি, পুজোর আগে তাড়াহুড়ো করে রাস্তা ঠিক করার তুলনায় সারাবছর রক্ষণাবেক্ষণের কাজ সঠিকভাবে করলে সমস্যা এত বড় আকার ধারণ করে না।
সুপ্রতিম বসু নামে বিধাননগরের এক বাসিন্দা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘সঠিকভাবে রাস্তা মেরামতির কাজ করা উচিত। এমনভাবে কাজ করা প্রয়োজন যাতে, কয়েকমাসের মধ্যেই তা পুনরায় আর মেরামত না করার প্রয়োজন হয়। কারণ সল্টেলেকের অধিকাংশ রাস্তাই বেহাল অবস্থায় রয়েছে। বিধাননগর পুরসভার উচিত রাস্তা সমস্যা সমাধানে স্থায়ী কোনও বন্দোবস্ত করা।’
বিধাননগর পুরসভার মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী এ প্রসঙ্গে এই সময় ডিজিটালকে বলেন, ‘পুজোর আগেই বেশ কিছু রাস্তায় প্যাচওয়ার্কের কাজ হয়েছে। বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকার কারণে পুজোর সময় পুরোদমে রাস্তার কাজ করা সম্ভব হয়নি। নিয়ম মেনে যাবতীয় টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ করতেও খানিক সময় লেগেছে। এবার আমরা তৈরি। দ্রুত বিধাননগরের সব রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু হবে।’