বাড়ি থেকে পালিয়ে মুম্বই
জানা গিয়েছে, বছর ১৬-র ছোট বোন লাউদোহা উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির পড়ুয়া। ১৭ বছরের মেজো বোন বীরভূমের পাথরচুপরি উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়া, এবং বছর ২০-র বড় বোন পাণ্ডবেশ্বর গার্লস উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়া। স্থানীয় সূত্রে খবর, সম্প্রতি বড় ও মেজো বোনের বিয়ে ঠিক হয়। সেই বিয়েতে আপত্তি ছিল ওই দুই বোনের। সেই আপত্তির মাঝেই গত ২২ তারিখ রাতে ওই তিন বোন তাদের কন্যাশ্রীর টাকা ভেঙে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাসে চেপে প্রথমে আসনসোল যায়। তারপর সেখান থেকে ট্রেনে চেপে মুম্বাইয়ে চলে যায়। সেখান থেকে ফের হাওড়ায় ফিরে আসে। তারপর সেখান থেকে পৌঁছয় দমদম স্টেশনে।
মেবাইল টাওয়ার লোকেশন ধরে উদ্ধার
এদিকে মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে দুর্গাপুরের ফরিদপুর থানার পুলিশ জানতে পারে ওই তিন বোন দমদমে রয়েছে। তারপরেই রবিবার তাদের সেখান থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। সোমবার উদ্ধার হওয়া দুই নাবালিকাকে চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তারপরেই দুই নাবালিকাকে আসানসোলের জুভেনাইল আদালতে এবং বড় বোনকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। দুই নাবালিকার ১৮ বছরের নিচে যাতে বিয়ে দেওয়া না হয় সেই মর্মে তাদের বাবা নাসিমুদ্দিন খানকে দিয়ে মুচলেকা লেখানো হয়। তারপর তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয় পরিবারের কাছে।
পুলিশকে ধন্যবাদ পরিবারের
ওই তিন কন্যার বাবা নাসিমুদ্দিন খান বলেন, ‘২২ তারিখ রাতে আমার ৩ মেয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। লাউদোহা থানায় জানানো হয়। লাউদোহা থানা সহযোগিতা করে। কলকাতায় ছিল মেয়েগুলো। ওরা আমার হাতে তুলে দিয়েছে। কিছু টাকাপয়সা ছিল ওদের কাছে। কন্যাশ্রীর টাকা নিয়ে ওরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। লাউদোহা থানাকে ধন্যবাদ।’ এই বিষয়ে বিডিও দেবজিৎ দত্ত জানান, তিনি ওই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।
এদিকে এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। একসঙ্গে ৩ মেয়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার। তবে এখন সুস্থ ও অক্ষত অবস্থান ৩ মেয়েকে ফিরে পেয়ে হাসি ফুটেছে পরিবারের সদস্যদের মুখে। যদিও ওই ৩ মেয়ে কেন একসঙ্গে পালাল তা এখনও পরিষ্কার নয় পুলিশ ও পরিবারের কাছে।