এলাকার আরও এক বাসিন্দার দাবি, বাড়িটা একজন প্রোমোটারের। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কনভয়ও সেখানে আসত। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে বাকিবুর রহমানের যে বৈঠক, তা সল্টলেকের বিডি ব্লকের ওই বাড়িতেই চলত বলে ইডি সূত্রে খবর। খাদ্য ভবন থেকে বেরোনোর পরে কনভয় করে ওই বাড়তেই আসতেন জ্যোতিপ্রিয়। গোটা বাড়িতেই ছিল সিসিটিভির নজরদারি।
গতকাল জ্যোতিপ্রিয়র প্রাক্তন পিএ-র বাড়িতে ইডি
এদিকে শনিবার জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তনের পিএ-র বাড়িতে যান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। বিকেল পাঁচটা নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনার খড়দার মধ্যপাড়ার বড়িশাল পল্লীর বাসিন্দ তাপস বিশ্বাসের বাড়িতে পৌঁছান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের ৬ আধিকারিক। এদিন বিকেলে ইডির আধিকারিকরা যখন পৌঁছন, সেই সময় বাড়িতেই ছিলেন তাপস। তিনি নিজেই দরজা খুলে দেন। এরপর ইডির তদন্তকারীরা বাড়ির ভিতরে ঢোকেন। সূত্রের খবর, এদিন নিজেদের সঙ্গে মোবাইল ডিকোডার নিয়ে গিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। দীর্ঘ প্রায় পাঁচ ঘণ্টা তদন্ত করে রাত দশটা-সাড়ে দশনা নাগাদ তাপস বিশ্বাসের বাড়ি থেকে বের হয় ইডির দল।
আগে অভিজিৎ-অমিতকে জিজ্ঞাসাবাদ
অন্যদিকে এর আগে সিজিও-তে অমিত দে এবং অভিজিৎ দাসকেও তলব করে ইডি। যদিও অমিত দে দাবি সেই সময় করেন, তিনি মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক নন, শুধুমাত্র অফিসের কর্মী। অমিত বলেন, ‘সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে আমি আপ্ত সহায়ক, এটা সম্পূর্ণই ভুল। আমি ওঁর (মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের) অফিসের কর্মী ছিলাম, জ্যোতিপ্রিয়বাবুর সঙ্গে একই পাড়াতে বড় হয়ে ওঠা। তৃণমূলের সরকার যখন আসে, তিনি যখন ক্ষমতা পান, তখন আমি তাঁর অফিসের কর্মী হিসেবে কাজে যোগ দিই। আর আপ্ত সহায়ক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন অভিজিৎ দাস।’ অমিতে দাবি, একজন কর্মী পিএ হতে পারেন না।