কী বলেছেন অখিল গিরি?
শুভেন্দু অধিকারী এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন মন্ত্রী অখিল গিরির সভার একটি বক্তব্যের ভিডিয়ো। সেখানে তাঁকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বলতে শোনা যায়, ‘ সিভি আনন্দ বোসের ব্যাপারটা আমরা জানি না নাকি? কেন কুণাল ঘোষের পুজো উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন?’ এরপরেই রাজ্যপালের একটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার কথা তুলে ধরেন মন্ত্রী। তিনি বলেন ‘ আমরা জানি না, তোমার হোয়াটসঅ্যাপে কী আছে? কেন ১০ তারিখ মুখ্যমন্ত্রীকে একশো দিনের কাজের জন্য কথা বলতে ডেকেছিলেন? আপনার কলঙ্ক আমরা ধরব, ছাড় পাবে না।’
শুভেন্দু কী বললেন?
এই ভিডিয়ো শেয়ার করে শুভেন্দু বলেন, ‘আজ, আমি মন্ত্রী অখিল গিরির করা একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগের বিষয়ে রাজ্যপাল ডাঃ সি ভি আনন্দ বোসকে একটি ইমেল পাঠিয়েছি। আশা করি যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপালকে ‘কড়া’ চিঠি লেখেন শুভেন্দু। সেখানে এর আগে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে মন্তব্যের জেরে তাঁর (অখিল গিরি) বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়। সাংবিধানিক পদে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এরকম মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক, বলে জানান শুভেন্দু অধিকারী।
আর কী বললেন শুভেন্দু?
শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যপালকে লেখেন, রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির এই মন্তব্য শুধুমাত্র আপনার ব্যাক্তিগত ভাবমূর্তিকে নষ্ট করছে, তাই নয়। এটা রাজভবন এবং রাজ্যপালের পদমর্যাদাকেও কলঙ্কিত করা হচ্ছে। এমনকি, শুভেন্দু আরও বলেন, ‘ওই মন্ত্রীর দ্রুত বরখাস্ত করা উচিত। তাঁর মন্ত্রীর চেয়ারে থাকার কোনওরকম যোগ্যতা নেই।’ বিষয়টি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে রাজ্যপালের কাছে আর্জি জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
অখিল গিরিকে নিয়ে বিতর্ক
রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর বাহ্যিক চেহারা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে তোলপাড় পড়ে যায় গোটা রাজ্যে। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘কী রূপসী! কী দেখতে ভালো! আমরা রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু, তোমার রাষ্ট্রপতিকে কেমন দেখতে বাবা!’ এই মন্তব্যের পর শুরু হয় চরম বিতর্ক। রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত আক্রমণ করেন বিরোধী দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।