Hooghly DVC Bridge : বৈঁচির ডিভিসি ব্রিজ সংস্কার শীঘ্রই, পরিদর্শন পূর্ত দফতরের – hooghly boinchi dvc bridge will be renovated shortly assured by public works department


হুগলি জেলার বৈঁচির বাসিন্দাদের জন্য সুখবর! শীঘ্রই বৈঁচি ১৩ নম্বর রোডে ডিভিসি খালের উপর ব্রিজ সংস্কারের কাজ শুরু হচ্ছে। সোমবারই বেহাল ব্রিজ পরিদর্শন করেন পূর্ত দফতরের কর্তারা।

কী জানা যাচ্ছে?

স্থানীয় সূত্রে খবর, বৈঁচি ডিভিসি খালের উপর ব্রিজ দীর্ঘদিন খারাপ হয়ে আছে। ভারী যান চলাচল বন্ধ। ১৩ নম্বর রুটের বাস বন্ধ গত তিন বছর ধরে। গুরাপ কালনা রোডের সঙ্গে জাতীয় সড়ক ও কয়েকটি রাজ্য সড়কের যোগাযোগ। বৈঁচি স্টেশনে যেতেও ভরসা এই রাস্তা। বৈঁচি থেকে বৈদ্যপুর যাওয়ার রাস্তার উপরেই রয়েছে ডিভিসির সেতু। সেই ব্রিজের অবস্থা একপ্রকার ভগ্ন প্রায়। ভারী যান চলাচলে দু’দিকে লোহারবার পোস্ট পুঁতে দেওয়া হয়। বড় কোনও যানবাহন এই ব্রিজের উপর দিয়ে যাতায়াতে নিষেধ করা রয়েছে।

স্থানীয়রা কী জানাচ্ছেন?

স্থানীয় বাসিন্দা অমরনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘দুর্গাপুর হাইওয়ে এক্সপ্রেস, জিটি রোড, আসাম রোড, 34 ন্যাশনাল হাইওয়ে এই চারটি রাস্তার সঙ্গে সংযুক্ত এই রাস্তা।’ দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকায় স্থানীয় মানুষজনদের প্রচন্ড অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ব্যবসাদারদেরও অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। বাস রুট থাকলেও সেটা কাটা সার্ভিস এর মাধ্যমে যাতায়াত করতে হয়। ফলে হয়রানি যেমন হয় তেমন অতিরিক্ত পয়সা দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে হয়।

কী জানাল পূর্ত দফতর?

পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা এসে সোমবার ব্রিজ পরিদর্শন করে যান। তাঁরা জানিয়েছেন, খুব দ্রুত ব্রিজের কাজ শুরু হবে। এর ফলে বাস মালিকদের যেমন সুবিধা হবে তেমনি মানুষের যাতায়াতেরও অনেক সুবিধা হবে। পূর্ত দফতরে হুগলি ডিভিশনের বাঁশবেড়িয়া হাইওয়ে সাবডিভিশান এক এর অ্যাসিটেন্ট ইঞ্জিয়ার দীপক বেরা বলেন, ‘আজকে সার্ভে করা হয়েছে। ব্রিজটি নতুন করে করতে হবে। তার প্রপোজাল এসেছে।’

Singur Tata Nano Controversy: ফের চর্চায় সিঙ্গুরের সেই জমি, এখন সেখানে কী হয় জানেন?
জেলা পরিষদ কী বলছে?

এই বিষয়ে স্থানীয় জেলা পরিষদের সদস্য তথা গোঘাটের প্রাক্তন বিধায়ক মানস মজুমদার চিঠি লিখে পূর্ত মন্ত্রী পুলক রায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এরপরই আজ পূর্ত দফতরের প্ল্যানিং বিভাগের আধিকারিক ও অ্যাসিটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার ব্রিজটি পরিদর্শন করতে আসেন। ডিপিআর তৈরি করে দেওয়ার পর টাকা অনুমোদন হলে ব্রিজটি নতুন করে তৈরি হবে। মানুষের সমস্যার কথা থেকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান মানস মজুমদার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *