‘আমার ভুল একটাই যে ওর সঙ্গে বাঁচতে চেয়েছিলাম…’, মানিকচকের যুবতীর আত্মহত্যায় চাঞ্চল্য – malda manikchak college student take extreme step after lover cheated on her


দীর্ঘ ছয় বছরের সম্পর্ক। পূর্বানুরাগ থেকে প্রেম, সেই থেকে ঘনিষ্ঠতা। যুবতী গর্ভবতী হয়ে পড়তেই সামনে এল প্রেমিকের আসল রূপ। নিজের আইনি বিয়ের কথা লুকিয়ে ছয় বছর ধরে প্রতারণা করেছে প্রেমিক জানতে পেরে ভেঙে পড়েন তরুণী। শেষ অবধি ফেসবুকে নিজেদের সম্পর্কের তথ্য প্রমাণ সমেত ছবি ও প্রেগনেন্সি কিটের রেজাল্টের ছবিও পোস্ট করে প্রেমিক মানব সরকারের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ উগরে দেন। পরের দিন সকালে তরুণীর ঘর থেকে উদ্ধার হয় সুইসাইড নোট। বাড়ির বাগানেই মেলে তার ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল মালদহের মানিকচকে।

জানা গিয়েছে, মালদহের চাঁচল কলেজ থেকে স্নাতক পাশ ওই তরুণী শিক্ষকতা নিজের পেশা করতে চেয়েছিলেন। সেই মতো বিএড ও চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। বহুদিন ধরেই এক যুবকের সঙ্গে তাঁর ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। পাশের গ্রামেই থাকেন সেই যুবক। তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও হয়। শারীরিক ঘনিষ্ঠতার পরই সম্প্রতি গর্ভবতী হয়ে পড়েন ওই তরুণী। ছেলেটিকে সেই কথা জানাতেই সামনে আসে আসল কথা। অনেক আগে থেকেই অন্য এক মেয়ের সঙ্গে আইনি বিয়ে সেরে রেখেছেন ওই যুবক। ছয় বছরের প্রেমের সম্পর্ককে প্রত্যাখ্যান করে বিয়েতে নারাজ প্রেমিক। এই প্রত্যাখান মানতে না পেরে বিয়ের দাবি নিয়ে যুবতী প্রেমিকের বাড়িতে হাজির হন। কিন্তু প্রেমিক সহ তার পরিবারের লোকজন যুবতীকে চরম অপমান করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। সেই অপমানই মানতে না পেরে চরম পদক্ষেপ।

জানা গিয়েছে, তরুণী নিজের ফেসবুক ছাড়াও সুইসাইড রোডেও সমস্ত কিছু লিখে প্রেমিককেই নিজের মৃত্যুর জন্য দায়ী করে গিয়েছেন। প্রেমিকের সঙ্গে কাটানো ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে এবং ১৭ পাতার সুসাইড নোট লিখে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই তরুণী। বাবা মায়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে তরুণী লিখেছেন, ‘আমার একটাই ভুল হয়েছে, একটাই অন্যায় হয়েছে যে আমি ওর সঙ্গে জীবন কাটাতে চেয়েছিলাম।’ সুইসাইড নোটে তার অকাল মৃত্যুর জন্য বারবার সে দায়ী করেছে তার প্রেমিককে। ঘটনাটি মানিকচকের নাজিরপুর অঞ্চলের পূর্বপাড়ায়। আর এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকা জুড়ে।

উল্লেখ্য, ঘটনার পর মানিকচক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে যুবতীর পরিবার। অন্যদিকে দাবি, প্রেমিক যুবক রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী, বিধায়িক সাবিত্রী মিত্রের আত্মীয়। তাঁর দাদা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ও অভিযুক্তের পরিবার পলাতক।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *