বিধায়কের মন্তব্য বিতর্ক
বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তালডাংরার তৃণমূল বিধায়ক অরূপ চক্রবর্তী। ED-CBI-র মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্যবহার নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেন তিনি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার নিয়ে কথা বলার সময় অরূপ বলেন, ‘বাংলাকে যে কোনও প্রকারে ভাতে মারার চেষ্টা চলছে। ED ও CBI-কে দিয়ে অপপ্রচার করে একদিকে গ্রেফতার করানো হচ্ছে, অন্যদিকে বাংলাকে ভাতে মারার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাংলার মানুষ বিজেপিকে ভোট দেয়নি বলেই এই প্রতিহিংসা। কিন্তু এভাবে বেশি দিন চলতে পারে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এইসব করে তৃণমূলকে বেশিদিন আটকানো যাবে না। বৃহত্তর আন্দোলন হবে। ব্রিটিশের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি। আমাদের দল লড়াই করেছে। সেই দলকে এত সহজে আটকানো যাবে! আমরা ৩৪ বছরের জগদ্দল পাথরকে বাংলা থেকে উৎখাত করেছি, এরা তো কোন ছাড়! বিধানসভা, পঞ্চায়েত, পুরসভা সব জায়গায় বিজেপিকে মানুষ প্রত্যাখান করেছে। মানুষের তো কোনও দোষ নেই। সেই কারণে আমরা রাস্তায়নেমেছি। দিল্লিতে গিয়েছি, রাজ্যপালের কাছে গিয়েছি। আমাদের আন্দোলন চলবে।’ তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্য দলের অস্বস্তি বাড়াল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। জেলা নেতাদের অনেকেই মনে করছেন, বিধায়কের ভেবে কথা বলা উচিত ছিল।
তীব্র প্রতিক্রিয়া বিজেপির
তৃণমূল বিধায়ককে ‘বন্ধু’ বলে সম্বোধন করেও এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বাঁকুড়া বিজেপি। বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘ব্রিটিশরা কত সালে ভারতবর্ষ থেকে বিতাড়িত হয়েছিল আর তৃণমূল কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল? যিনি একথা বলছেন তিনি শুধু পাগলের প্রলাপ বকছেন। তাঁর কথা শুনে গাছের বাঁদরও হাসবে। এই কারণে তৃণমূলকে অশিক্ষিতদের দল বলে। আমি তৃণমূল বিধায়ককে বলছি, ভালো করে ইতিহাস পড়ুন, ইতিহাসটা বুঝে দেখার চেষ্টা করুন। ১৯৪৭ সালে আপনাদের কোনও অস্তিত্ব ছিল না। আমি আমাদের দলের নেতাদেওর এই কথা কখনও বলতে শুনিনি। বিধায়কের উচিত ভালো করে ইতিহাস জেনে নেওয়া।’