এই বছর নির্ধারিত সময়ের থেকে প্রায় ২ সপ্তাহ পরে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের ডিরেক্টর সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘এই বছর দীপাবলি এবং ছট পুজো দেরিতে হচ্ছে। আমরা দীপাবলি এবং ছট পুজো শেষ হওয়ার পরে ঘুম উৎসব করতে চাই, তাই এই বছর দেরি হচ্ছ।’গত বছর এই উৎসব ১২ নভেম্বর শুরু হয়েছিল।
উৎসবের আকর্ষণ কী কী?
এই উৎসবে স্থানীয় প্রতিভা, হস্তশিল্প, রন্ধনপ্রণালী এবং বিখ্যাত দার্জিলিঙের চা বাগান দেখার পাশাপাশি, পর্যটকরা অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের আনন্দও উপভোগ করতে পারেন। সাধারণত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত চলবে অনুষ্ঠান। সপ্তাহান্তে বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের ডিরেক্টর জানান, ১০ ডিসেম্বর দার্জিলিংয়ে একটি বড় অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে উৎসবের সমাপ্তি হবে।
প্রসঙ্গত, পর্যটকদের কাছে দার্জিলিঙের জয় রাইডগুলির বিশেষ চাহিদা রয়েছে। বিদেশিদের মধ্যে সেগুলির আরও চাহিদা রয়েছে। ডিরেক্টর বলেন, ‘আমরা এই ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ট্রেনটিকে বিশ্বব্যাপী রেল প্রেমীদের মধ্যে আরও বেশি করে প্রচার করতে চাই।’ দার্জিলিং এবং ঘুম স্টেশনের মধ্যে বর্তমানে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের ১২টি জয় রাইড রয়েছে।
১৯৯৯ সালে আসে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা
প্রসঙ্গত, ১৮৭৯ সালে প্রথম কাজ শুরু করে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে। সেই সময় এটি দার্জিলিং স্টিম ট্রামওয়ে নামে পরিচিত হয়। ১৮৮১ সালে দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত সেকশনের কাজ শেষ হওয়ার পর রেল কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে কোম্পানি রাখা হয়। ১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর ইউনেস্কো কর্তৃক এটিকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, দার্জিলিঙের পর্যটকদের কাছে বরাবরই টয় ট্রেনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বহু পর্যটকই এখনও দার্জিলিং যান শুধুমাত্র এই টয় ট্রেনের আকর্ষণেই। আর তারই মধ্যে এবার ঘুম ফেস্টিভ্যালের ঘোষণা হয়ে গেলে। সেক্ষেত্রে এই উৎসবকে ঘিরে পাহাড় যে আবারও মেতে উঠবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।