কী জানা যাচ্ছে?
স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, সকাল ছটা নাগাদ এলাকাবাসীরা আগুন দেখতে পেয়ে দমকলকে খবর দেন। দমকল কিন্তু দেরিতে আসে। যার ফলে একটি গোডাউন থেকে আগুন আশেপাশে থাকা গোডাউন ও কারখানায় ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে আগুনটি লেগেছে তার ঠিক পাশেই রয়েছে একটি পেট্রোল পাম্প এই আগুনের ভয়াবহ দেখে আতঙ্কে রয়েছেন এলাকার মানুষ।
স্থানীয়রা কী জানাচ্ছেন?
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, যে যদি এই আগুনটি পেট্রোল পাম্পে ধরে নেয় তাহলে পুরো গোটা এলাকা আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। পেট্রল পাম্প ইতিমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই দমকলের তরফ থেকে দুটি দমকলের গাড়ি পেট্রোল পাম্পের রাখা হয়েছে ও আগুনকে নেভানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন।
দমকল কী জানাচ্ছে?
শ্যাম চন্দ্র মণ্ডল ডেপুটি ডিরেক্টর দমকল হেডকোয়ার্টার জানিয়েছেন, আপাত ১৫টি দমকলের গাড়ি ঘটনাস্থলে কাজ করছে যদিও কোনরকম হতাহতের খবর না থাকলেও বেশ কিছু কারখানা ও গোডাউন পুড়ে গিয়েছে। জলের অভাব থাকলেও হাইরাইজ বিল্ডিং ও পাশে গঙ্গার থেকে জল নিয়ে আগুনটাকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যদিও আগুনটা এখনও নিয়ন্ত্রণে বলা যাবে না কিন্তু আগুনটাকে ঘিরে রাখা হয়েছে, যাতে আরও আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে কী ভাবে এই আগুন লাগল, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ফোরশোরের রোডের পাশে এই এলাকা জুড়ে একাধিক কলকারখানা রয়েছে। জনসাধারণের বসবাস খুবই কম রয়েছে ওই এলাকায়। বিভিন্ন কোম্পানির গুদাম রয়েছে ওই এলাকায়। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া গুদামের ভিতরেও কেউ আটকে ছিলেন না বলে দমকল সূত্রে এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি, এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের জেরে ফোরশোর রোডের একটা বড় অংশ যান চলাচল করছে না।