Land Dispute : জমি-জটের সংস্কার সেই স্বপ্নই ঢাকুরিয়া বাজারে – renovation of south kolkata dhakuria bazar has stop due to land dispute


এই সময়: আবার সেই জমি-জটই অন্তরায় উন্নয়নে। এ বার খাস মহানগরে। আর তার জেরে থমকে রয়েছে দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়া বাজারের সংস্কার। স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভ, কলকাতা শহরের বিভিন্ন বাজারের সংস্কার ও উন্নয়ন হলেও ঢাকুরিয়া বাজারের ক্ষেত্রে হয়নি। বাসিন্দাদের খেদ, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশেই বাজার করা দস্তুর ঢাকুরিয়ায়। তাঁদের অভিযোগ, বাজারে কোনও নিকাশি ব্যবস্থা নেই।

যত্রতত্র ইলেক্ট্রিকের তার ঝোলে বিপজ্জনক ভাবে। ফলে সব সময়েই ঝুঁকি নিয়ে বাজারে কেনাকাটা করতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দা সুবীর মৈত্রের কথায়, ‘বারো মাস নোংরা জল পেরিয়েই বাজার করতে হয়। বর্ষায় পরিস্থিতি দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। শহরের অন্য বাজারের হাল বদলালেও ঢাকুরিয়া বাজারের ছবিটা আর বদলাল না।’

স্থানীয় ৯২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সিপিআইয়ের মধুছন্দা দেব জানান, ২০০৫ থেকে তিনি এই বাজারের সংস্কার ও উন্নয়নের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতায় তা সম্ভব হয়ে উঠছে না। বাজারের দোকানদার শম্ভু পাত্রের কথায়, ‘বহু বার শুনেছি আমাদের এই বাজারের উন্নয়ন হবে। কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি।’

কাউন্সিলারের কথায়, ‘আমি বহুবার পুর-কর্তৃপক্ষের কাছে বাজারের সমস্যার কথা জানিয়েছি। বাজারের উন্নয়ন নিয়ে পুরকর্তারা আজও তাঁদের ভাবনা-চিন্তা জানিয়ে উঠতে পারেননি। তবে দোকানদার ও বাসিন্দারা আমার কাছেই অভিযোগ জানান। শহরের সব বাজারের উন্নয়ন হলেও ঢাকুরিয়া বাজারের উন্নয়ন কেন করা যাবে না, তা আমার কাছেও পরিষ্কার নয়।’

কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, জমি-জটেই থমকে ঢাকুরিয়া বাজারের সংস্কার। বর্তমানে বাজারটি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমিতে রয়েছে। ওই জমির মালিকদের একাধিক শরিক। সেই শরিকদের সঙ্গে বাজারের উন্নয়ন নিয়ে পুরকর্তাদের আলোচনাও হয়েছে। ওই সূত্রের দাবি, মালিকপক্ষ জমির ভাগবাঁটোয়ারার প্রস্তাবে রাজি হননি। তাঁরা পুরসভাকে জমি বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

বাজারের জন্য ছাড়পত্র পাবে পাশ করা বাজি
কিন্তু মালিকপক্ষ জমির দর এতটাই চড়া হেঁকেছেন যে পুরকর্তারা তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি। ফলে ঢাকুরিয়া বাজারের সংস্কারও থমকে রয়েছে। কলকাতা পুরসভার বাজার বিভাগের মেয়র পারিষদ আমিরুদ্দিন ববির অবশ্য আশ্বাস, ‘বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নেব। জটিলতা কাটিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *